দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির মধ্যে উত্তেজনা চরমে। সূত্রের খবর, এখন আম আদমি পার্টি (এএপি) চায় ইন্ডিয়া ব্লক থেকে কংগ্রেসকে সরিয়ে দেওয়া হোক। এর জন্য তারা অন্যান্য দলের সঙ্গে কথা বলবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতীশি এবং আম আদমি পার্টির সিনিয়র নেতা সঞ্জয় সিং দুপুর ১টায় এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। আম আদমি পার্টি সূত্রে খবর, কংগ্রেস নিয়ে AAP নেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। তাই, এখন কংগ্রেসকে ভারত জোট থেকে বের করে দিতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে AAP। তাদের অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে মিলে কাজ করছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতাদের ক্রমাগত বক্তব্যে ক্ষুব্ধ AAP নেতারা। একদিন আগেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লি যুব কংগ্রেস। এ নিয়ে এএপি নেতাদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, দিল্লি যুব কংগ্রেসের সভাপতি অক্ষয় লাকড়া ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। লাকড়া অভিযোগ করেছিলেন যে AAP জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করেছে এবং তাদের পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতারণা করেছে। যুব কংগ্রেস একটি অভিযোগ দায়ের করেছে যখন খোদ দিল্লি সরকারের কিছু বিভাগ AAP এর প্রকল্পগুলির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই পরিকল্পনাগুলিকে বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। কংগ্রেস এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে এবং কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়ছে কংগ্রেস। মোট ৭০ আসনের মধ্যে ৪৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে তারা। আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ। মঙ্গলবার আপের বিরুদ্ধে সুর চড়ান অজয় মাকেন। কেজরিওয়ালকে ‘ফর্জিওয়াল’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, দিল্লিতে না মোদী সরকার না কেজরিওয়াল সরকার, কেউই প্রত্যাশা পূরণ করেনি। তারা মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে।
দিল্লি বিধানসভার ভোটে একে-অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে কংগ্রেস ও আপ। তারা আলাদা আলাদা ভাবে নির্বাচনে লড়বে। ফলে দিল্লিতে ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে। এতে করে রাজনৈতিকভাবে সুবিধা হবে কার? দিল্লির রাজনীতিতে এনিয়ে বাড়ছে চর্চা। যদিও কংগ্রেস সূত্রে খবর, দিল্লিতে আপকে সমস্যায় ফেলতে চায় না কংগ্রেস। আলাদা লড়লেও যাতে বিজেপি সুবিধা না পেয়ে যায় তার জন্য চেষ্টা চলছে। এছাড়াও বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে আপকে হাতছাড়া করতে নারাজ কংগ্রেস নেতৃত্ব।