বিজেপির আনা ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের 'অভিসন্ধি' নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এও মনে করালেন, তৃণমূলই এই বিলের বিরোধিতায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। সেই সঙ্গে ছুড়লেন চ্যালেঞ্জ,'এই বিল পাশ করিয়ে দেখান'। অমিত শাহকে 'কাপুরুষ' বলে খোঁচাও দিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ।
বিলের বিরোধিতায় বিজেপির 'অভিসন্ধি' বোঝাতে শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়,'২০২৪ থেকে ২৫ জন বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২৩ জন বিজেপিতে যাওয়ার পর তদন্ত থেমে গিয়েছে। বিল এনে দুর্নীতি বন্ধ করা উদ্দেশ্য নাকি ভারতকে বিরোধীশূন্য় করা? বিজেপির অভিসন্ধি ঠিক হলে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, শুভেন্দু অধিকারী ও অজিত পাওয়াররা বিজেপিতে যাওয়ার পর পার পেয়ে যেতেন না! ডাকাডাকি তো দূরের কথা, সমনও পাঠানো হয়নি। রাতারাতি ধোয়া তুলসী পাতা'।
অভিষেকের মতে, এই বিল আদতে বিরোধীশূন্য় করার কৌশল। তাঁর বক্তব্য,'৩০ দিন জেলে থাকলে ৩১ দিনে পদত্যাগ করতে হবে। তাহলে তো ভারতে আদালত থাকার দরকার নেই। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্য ঠিক থাকলে ৩০ দিনের জায়গায় ১৫ দিন করুন। কিন্তু বিধান থাকতে হবে, ১৫ দিনে অভিযোগ প্রমাণ না হলে তদন্তকারী অফিসারকে দ্বিগুণ সময় জেলে থাকতে হবে। এই বিল আমরা সমর্থন করব। সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে'।
এ দিন অমিত শাহ লোকসভায় বিলটি পেশ করেন। তারপরই হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেন। অভিষেক মনে করিয়ে দেন, আমরা যেভাবে শুরু থেকে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেছি, এমনটা আর কেউ করেনি। আমাদের কারণেই লোকসভার অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হল। লোকসভায় কাপুরুষের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চতুর্থ সারিতে বসে বিল পেশ করেছেন। অন্তত ২০ জন মার্শাল ঘিরেছিলেন ওঁকে। এটা বাংলার ক্ষমতা। এ মাটি বশ্যতা স্বীকার করে না। গায়ের জোরে করলে সংসদের ভিতরে ও বাইরে লড়াই হবে'।