'এটা বাংলা বিরোধী বাজেট। বিহারকে দেওয়া হল বোনানজা। বাংলাকে অর্থনৈতিক অবরোধ করা হল'। লোকসভায় এভাবে নির্মলা সীতারমনের বাজেটকে তুলোধনা করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্মলা সীতারমনের বাজেট ঘোষণার পরই 'বিহার-কেন্দ্রিক বাজেট' বলে কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেক। এ দিন বাজেট আলোচনায় লোকসভায় দাঁড়িয়ে আরও একবার সেই প্রসঙ্গই তুললেন। বললেন,'বাজেট দেখে আমার মনে হচ্ছে, অর্ধেক যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো শব্দটি একেবারে যথাযথ হবে। এমন শব্দ আপনারা হয়তো আগে কখনও শোনেননি। এমনটা কেন? বিহারে জেডিইউ-র ১২টি আসন রয়েছে। বিজেপিরও ১২ সাংসদ আছেন। বাংলাতেও ১২ জন সাংসদ বিজেপির। তবে বিহারের ক্ষমতায় রয়েছে তারা। আর বাংলায় নেই। তাই বিহার পেল বোনানজা। বাংলা পেল ব্লকেডার'।
অভিষেক যোগ করেন,'বাংলার জন্য কোনও অর্থপূর্ণ বরাদ্দ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এটা বাংলা বিরোধী বাজেট'।
বাংলার বকেয়ার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর কথায়,'১.৭ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এটা বাংলার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিকে রোখার চেষ্টা। ইচ্ছাকৃতভাবে আর্থিক বাধা তৈরি করা হচ্ছে। মনরেগায় ৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। কর্মশ্রী প্রকল্পে জব কার্ডধারীদের নিজেদের টাকা থেকে কাজ দিচ্ছে। ৮১৪০ কোটি টাকা দেয়নি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। ১২ লক্ষ উপভোক্তা বাড়ি পায়নি'।
অভিষেকের দাবি,'আপনারা বাংলাকে বঞ্চিত করলেও এগিয়ে চলেছে রাজ্য। আত্মনির্ভরতার নজির হিসেবে তুলে ধরেছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে রাজনীতি করলেও বাংলা ভিক্ষা চাইবে না। ওদের সাহায্য ছাড়াই আমরা গড়ব, সাহায্য করব, এগিয়ে যাব'।
বাজেট ঘোষণা পর থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করে আসছেন, এই বাজেটে বাংলার জন্য কিছুই নেই। বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,'চলতি বছরে বিহারে নির্বাচন। সেজন্য বিহারকে মাথায় রেখে বাজেট তৈরি করেছেন। আগের বছর অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারকে সব দেওয়া হয়েছিল। গত ১০ বছরে বাংলাকে কিছুই দেয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক'।