Advertisement

Maoist Encounter: বাসবরাজ খতম, ভারত থেকে মুছে যাবে মাওবাদীরা? উত্তরসূরিই খুঁজে পাচ্ছে না সংগঠন

পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক খুঁজতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মাওবাদীরা। বাসবরাজুর মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে সংগঠনকে। জীবিত এবং সক্রিয় শীর্ষ নেতার সংখ্যা মোটে ৩। ফলে বৃদ্ধ ভূপতি কিংবা রাজনীতিকে অবুঝ দেবজিকেই বেছে নিতে হবে তাদের।

Maoist Encounter Maoist Encounter
Aajtak Bangla
  • রায়পুর,
  • 24 May 2025,
  • अपडेटेड 9:47 AM IST
  • বাসবরাজুর এনকাউন্টারের পর ভেঙে পড়ছে মাওবাদী সংগঠন
  • তাঁর শূন্যস্থানে কে বসবেন, সেই উত্তর খুঁজতে দিশেহারা মাওবাদীরা
  • বাসবরাজের মৃতুর পর মুছে যাবে মাওবাদীরা? উত্তরসূরি খুঁজতে গিয়ে দিশেহারা দল

ছত্তিশগড়ের অবুঝমাড়ে এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নামবালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ। এই অপারেশনকে ভারতের মাওবাদী নির্মূল অভিযানের ক্ষেত্রে বড় সাফল্য মনে করছে প্রশাসন। শীর্ষনেতার মৃত্যু মাওবাদীদের কাছেও বিরাট ধাক্কা। এবার তাদের সংগঠনকে কে নেতৃত্ব দেবে, বাসবরাজের স্থানে কে বসবে, সেই নিয়ে হিসেব নিকেশ চলছে। 

ছত্তিশগড় পুলিশের DGP আরকে বীজ বলেন, 'বাসবরাজ কোনও সাধারণ মাওবাদী ছিলেন না। অন্ধ্রপ্রদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রপআউট বাসবরাজ ২০১৮ সালে গণপতির স্থান নিয়েছিলেন। দলের সাংগঠনিক রাজনীতিকে সশস্ত্র আন্দোলনের পথে চালিত করেছিলেন তিনি। শুধুমাত্র নামে কমান্ডার নন, ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী উগ্রপন্থী সংগঠনের প্রধান ছিলেন।' পুলিশ কর্তার আরও বক্তব্য, 'এত কড়া সুরক্ষা বলয়ে চলাফেরা করা দলের সাধারণ সম্পাদক, যাঁর আশপাশে ৬০-৭০ জন সশস্ত্র মাওবাদী ঘিরে থাকত, তার মৃত্যু প্রমাণ করছে আমাদের ইন্টালিজেন্স অত্যন্ত শক্তিশালী। এর প্রভাব মাওবাদী ক্যাডারদের উপর পড়েছে। এতে আত্মসমর্পণের পালা বাড়বে।'

বাসবরাজের পর কে?
CPI (Maoist) কোনও সাধারণ মাওবাদী সংগঠন নয়, বরং এক বহুস্তরীয় রাজনৈতিক দল। তৃণমূল স্তর থেকে এর কাঠামো শুরু হয়। শীর্ষে থাকেন দলের সাধারণ সম্পাদক। ফলে বাসবরাজের মৃত্যুতে দলের মাথার উপর থেকে ছাদ চলে গিয়েছে, বলা চলে। নিরাপত্তাবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের জেরে নিহত এবং আত্মসমর্পণ করেছেন মাওবাদী সংগঠনের বহু প্রথম সারির নেতা। পলিটব্যুরোর জীবিত ও সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা মোটে ৩। সেক্ষেত্রে তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করবে কে?

থিপ্পিরি তিরুপতি ওরফে দেবজি: কট্টর ফিল্ড কমান্ডার। ১৯৯০ সালের পিপলস ওয়ার গ্রুপের সময় থেকে সক্রিয়। ২০০৭ সালে তাঁর নেতৃত্বেই দান্তেওয়ারাতে গীদম থানা এলাকায় হামলা হয়েছিল। বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিটির সদস্য। এই পদেই সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে ছিলেন বাসবরাজ। আরকে বিজের মতে, 'দেবজি কেবলমাত্র অপারেশনাল কমান্ডার নন বরং রণনীতিকারও। তবে রাজনীতিটা ততটাও বোঝেন না যতটা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বোঝা উচিত।'

Advertisement

বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি: এমন একজন নেতা যিনি রাজনীতি এবং সামরিক নীতি দু'টিতেই সিদ্ধহস্ত। ১৯৯৫ সালে দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটি গঠনে তাঁর ভূমিকা ছিল। তেলুগু, হিন্দি এবং গোন্ডি ভাষায় পারদর্শী। ফলে আদিবাসীদের মধ্যে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যুরোর প্রধান। যা ছত্তিশগড়, উত্তর তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র এবং ওড়িশার মাওবাদী গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে তাঁর দুর্বলতা বয়স। বর্তমানে ৭০ ছুঁইছুঁই এই মাওবাদী নেতা। ফলে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। 

তবে বাসবরাজের  মৃত্যুর পরে তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে উঠে আসছে প্রথম সারির এই দুই নেতার নামই।

একটা সময়ে গোটা দেশে ৫টি জোনাল ব্যুরো চালাত এই সংগঠন। বর্তমানে সীমিত কেবলমাত্র দুই কেন্দ্র এবং এক পূর্ব ব্যুরো পর্যন্ত। একজন সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীক হওয়ার তুলনায় পার্টি বিকেন্দ্রীকরণ নেতৃত্ব মডেল তৈরি করলে লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরকে বিজের বক্তব্য, 'এটা ওদের ভাঙনের শুরু।'

 

Read more!
Advertisement
Advertisement