অগ্নি-১ মিসাইল ভারতের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড ফোর্সের হাতে থাকা অন্যতম সেরা ও মারাত্মক মিসাইল। ৭ ডিসেম্বর ওড়িশার এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপে এই মিসাইলের সফল পরীক্ষা করা হয়েছে। এটি একটি প্রশিক্ষণ লঞ্চ ছিল। অর্থাৎ কমান্ড বাহিনীর নতুন সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য লঞ্চটি করা হয়েছিল। উৎক্ষেপণের পর মিসাইলটি নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। এটি অ্যাভিওনিক্স, গতি, পরিসর এবং ইলেকট্রনিক্সের মান পূরণ করেছে। এটি একটি স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। অর্থাৎ এটি স্বল্প থেকে মাঝারি পরিসরে ছোড়া যেতে পারে। এটি ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে দেশে তৈরি করা হয়েছে।
এটি একটি সিঙ্গল ফেজ মিসাইল, যা কার্গিল যুদ্ধের পরে তৈরি করা হয়েছিল। যাতে ২৫০ কিলোমিটার থেকে ২৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে ব্যবধান পূরণ করা যায়। অর্থাৎ পৃথ্বী-২ এবং অগ্নি-২ মিসাইলের মধ্যে ব্যবধান কম হয়ে গিয়েছিল। এই মিসাইলের পাল্লা ৭০০ থেকে ১২০০ কিলোমিটার। বর্তমানে দেশে ৭৫টিরও বেশি লঞ্চার মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কোথায় এবং কোন অবস্থানে তা বলা হয়নি।
দেশের যে কোন স্থান থেকে উৎক্ষেপণ করা যায় এই মিসাইল। সলিড ফুয়েলে চলা এই মিসাইল যে কোনও স্থান থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। কারণ এটি চালু করতে 8x8 Tatra Transporter Erector Launcher ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে দুটি ভেরিয়েন্ট পাওয়া যায়। প্রথম অগ্নি-১ এবং দ্বিতীয় অগ্নি-১পি। যাতে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁতভাবে এবং দ্রুত গতিতে আক্রমণ করা যায়।
ছয় ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে
প্রচলিত উচ্চ বিস্ফোরক ইউনিটারি, পেনিট্রেশন, ক্লাস্টার মিউনিশন, ইনসেনডিয়ারি, থার্মোবারিক এবং পারমাণবিক অস্ত্র অগ্নি-১ ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডে স্থাপন করা যাবে। অর্থাৎ শত্রুকে অনেক ধরনের অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা যায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রায়ই এটি পরীক্ষা করে চলেছে। সাধারণত সমস্ত পরীক্ষা শুধুমাত্র ওড়িশার আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে পরিচালিত হয়। একটি মিসাইলের দাম ২৫ থেকে ৩৫ কোটি টাকা। এই মিসাইলটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড ফোর্সের ৩৩৪ তম মিসাইল গ্রুপ ব্যবহার করে। যার ঘাঁটি তেলঙ্গনার সেকেন্দ্রাবাদে। এই মিসাইলটি মধ্যপথে দিক পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে, কারণ এটি রিং লেজার গাইরো ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত।