Advertisement

Air India Plane Crash 2025: ৬ হাজার দুর্ঘটনা, ৯ হাজার মৃত্যু Boeing বিমানে কী সমস্যা? ফের উঠছে প্রশ্ন

Air India Plane Crash 2025: এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়েছে আহমেদাবাদে। ডিজিসিএ তদন্ত শুরু করেছে, বোয়িং থেকেও আসছে বিশেষজ্ঞ দল। পাইলট ভুল, প্রযুক্তি নাকি অন্য কারণ—কোনটা দায়ী সেই প্রশ্নে দোল জাতীয় নিরাপত্তা।

৬ হাজার দুর্ঘটনা, ৯ হাজার মৃত্যু Boeing বিমানে কী সমস্যা? ফের উঠছে প্রশ্ন৬ হাজার দুর্ঘটনা, ৯ হাজার মৃত্যু Boeing বিমানে কী সমস্যা? ফের উঠছে প্রশ্ন
Aajtak Bangla
  • আহমেদাবাদ ,
  • 12 Jun 2025,
  • अपडेटेड 5:03 PM IST

Air India Plane Crash 2025: গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, যার লাইভ ছবিগুলি ভয়াবহ। এই বিমানে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ১২ জন ক্রু সদস্য (দুইজন পাইলট সহ) এবং ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই, এয়ার ইন্ডিয়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এই বিষয়ে তথ্য জানায়।

এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনা আহমেদাবাদে, নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে ভারতের বিমান নিরাপত্তা নিয়ে। ডিজিসিএ (DGCA) ইতিমধ্যেই আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে। নিচে কয়েকটি মূল বিষয় তুলে ধরা হল।

বোয়িং বিমানগুলির সমস্যা কী? যখন বোয়িং বিমানগুলি ক্রমাগত বিধ্বস্ত হচ্ছিল, তখন বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স তদন্ত করা হয়েছিল। তদন্তে ম্যানুভারিং ক্যারেক্টারিস্টিক্স অগমেন্টেশন সিস্টেম (MCAS) সম্পর্কিত একটি সমস্যা প্রকাশ পেয়েছে। এই সিস্টেমটি ম্যানুয়াল অবতরণের উপর নির্ভরতা কমিয়েছে, কিন্তু পাইলটদের এ সম্পর্কে খুব বেশি ব্রিফিং দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি এমন হয়ে ওঠে যে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে ৩৪৬ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্য প্রাণ হারান। এই দুর্ঘটনার পর এই বিমানের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে এটি আপডেট করে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ নামে চালু করা হয়। 

আরও পড়ুন

আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার জড়িত ছিল। এই বিমানের দুর্ঘটনার গল্প আগে কখনও ঘটেনি। ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়ার পর আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে। 

৯০০০ এরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন
আহমেদাবাদ হামলার আগে সরকারি তথ্য অনুসারে, বোয়িং বিমানগুলি বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬,০০০ দুর্ঘটনা ও ঘটনার সাথে জড়িত ছিল, যার মধ্যে ৪১৫টি মারাত্মক এবং ৯,০০০ এরও বেশি মানুষ মারা গেছে। বিশ্বজুড়ে উড়ন্ত হাজার হাজার যাত্রীবাহী বিমানের মধ্যে কমপক্ষে ৪,০০০টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০। নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা হল কয়েকটি প্রধান মহাদেশ যেখানে বোয়িং বিমান ব্যবহার করা হয়।

পাইলটের ভুল:
কমার্শিয়াল বিমান দুর্ঘটনার প্রায় ৫০% ক্ষেত্রে পাইলটের ভুল দায়ী। ভুলভাবে ফ্লাইট ম্যানেজমেন্ট কম্পিউটারে প্রোগ্রাম দেওয়া বা জ্বালানির হিসাব ভুল হওয়া এর মধ্যে পড়ে।

Advertisement

যান্ত্রিক ত্রুটি:
প্রায় ২০% দুর্ঘটনা ঘটে বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে, যেমন ইঞ্জিন বিকল হওয়া।

প্রতিকূল আবহাওয়া:
খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ১০% দুর্ঘটনা ঘটে, তবে এই বিশেষ দুর্ঘটনায় এর সম্ভাবনা কম।

বিস্ফোরণ বা নাশকতা:
প্রায় ১০% দুর্ঘটনার পেছনে থাকে নাশকতা, যদিও আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এর ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।

অন্যান্য মানবিক ভুল:
যেমন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার, লোডার, ডিসপ্যাচার বা মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারদের ভুল।

বোয়িং-এর নিরাপত্তা রেকর্ড
বোয়িং আগে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হলেও, ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সাধারণভাবে নিরাপদ বলেই গণ্য হয়। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই মুহূর্তে আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে, তাই বোয়িং-এর ভূমিকায় মন্তব্য করা খুব তাড়াতাড়ি হবে।

ভারতের বিমান নিরাপত্তার ইতিহাস
ভারত স্বাধীনতার পর থেকে ৫০টিরও বেশি বড় বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা:

চরখি দাদরি (১৯৯৬):
পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ মাঝ আকাশে সংঘর্ষ, ৩৪৯ জন নিহত।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ৮১২ (২০১০):
ম্যাঙ্গালোরে বিধ্বস্ত হয়, প্রাণ হারান ১৫৮ জন।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ১৩৪৪ (২০২০):
কোজিকোডে রানওয়ে ছাড়িয়ে যায়, ১৮ জন নিহত।

ডিজিসিএ-এর তদন্তের পাশাপাশি বোয়িং-এর একটি কারিগরি দলও এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখবে।
তদন্তের লক্ষ্য থাকবে—কেন দুর্ঘটনা ঘটল, কীভাবে প্রতিরোধ করা যেত, এবং ভবিষ্যতের জন্য কী ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement