আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ঠিক কী কারণে ভেঙে পড়েছিল, এই নিয়ে এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। পাইলটের 'দোষেই' কি ভেঙে পড়ে বিমান? এমন প্রশ্নই উঠেছে নানা মহলে। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক রিপোর্টে তেমন তত্ত্বের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে কী দাবি করা হয়েছে
আমেরিকার আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ করার সুইচ বন্ধ করেছিলেন পাইলট। এআই-১৭১ বিমানটির ককপিটে সেদিন ছিলেন ৫৬ বছর বয়সী সুমিত সবরওয়াল। তাঁর ১৫ হাজার ৬৫৮ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। ফার্স্ট অফিসার ছিলেন ৩২ বছরের ক্লিভ কুন্দর। তাঁর ছিল ৩ হাজার ৪০৩ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, টেকঅফের পর ক্যাপ্টেনকে ফার্স্ট অফিসার জিজ্ঞাসা করেন যে, কেন তিনি জ্বালানির সুইচ রান বা চালু অবস্থায় থেকে কাট অফ বা বন্ধ করলেন। জ্বালানির সুইচ কাট অফ অবস্থায় দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ফার্স্ট অফিসার। কিন্তু সেই সময় ক্যাপ্টেন শান্তই ছিলেন। যদিও এই প্রাথমিক রিপোর্ট এভাবে প্রকাশ্যে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান পাইলটস।
বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বা এএআইবি। শনিবার তারা ১৫ পাতার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিন চালু করার মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন দুই পাইলট। আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিমানটি ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। জ্বালানির সুইচ 'রান' বা চালু থেকে 'কাটঅফ' বা বন্ধ অবস্থানে চলে এসেছিল। ৩ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচগুলি 'RUN' থেকে 'CUTOFF' হয়ে যায়। তবে, এটি দুর্ঘটনাবশত হয়েছে না কি ইচ্ছাকৃত, তা স্পষ্ট নয়। ওই সময় এক পাইলট অন্য পাইলটকে জিজ্ঞাসা করেন, 'কেন তুমি বন্ধ (জ্বালানি) করে দিলে?' অন্য পাইলট উত্তরে বলেন, 'আমি কিছু বন্ধ করিনি।'
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় এক জন যাত্রী বাদে সকলেরই মৃত্যু হয়েছে।