১২ জুন লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 বিমান আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ভেঙে পড়েছে। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি সহ এই বিমানে ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন ক্রু মেম্বার, ২ জন পাইলট এবং ২৩০ জন যাত্রী ছিলেন। এদিকে, টাটা গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার মৃতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে আর্থিক সাহায্য় দেওয়া হবে। টাটা সন্সের তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন বলেছেন, 'এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এর মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই মুহূর্তে আমাদের যে শোক, তা কোনও ভাষাতেই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা সেইসব পরিবারের সঙ্গে রয়েছে, যারা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। টাটা গ্রুপ এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারানো প্রতিটি ব্যক্তির পরিবারকে ১ কোটি টাকা দেবে। আমরা আহতদের চিকিৎসা ব্যয়ও বহন করব এবং তাঁদের প্রয়োজনীয় সকল যত্ন এবং সহায়তা নিশ্চিত করব। উপরন্তু, আমরা বিজে মেডিকেলের হস্টেল নির্মাণে সাহায্য করব। এই অকল্পনীয় সময়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে দৃঢ়ভাবে অটল।'
বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নিয়ম?
আজকের সময়ে, বিমানে ভ্রমণ যতটা সুবিধাজনক, ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ। একটি মাত্র ভুলের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে বিমান সংস্থা এবং ডিজিসিএ কিছু কঠোর নিয়ম তৈরি করেছে। যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে নিহতদের পরিবার আর্থিক সুবিধা পেতে পারে। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য এই নিয়মগুলি আলাদা।
১.৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
আন্তর্জাতিক বিমানে মৃত্যু বা শারীরিক আঘাতের ক্ষেত্রে ভারতে পরিচালিত বিমান সংস্থাগুলি ১৯৯৯ সালের মন্ট্রিল কনভেনশনের নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য, যা একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। যা ভারতও স্বাক্ষর করেছে। এই কনভেনশনের অধীনে, প্রতিটি যাত্রীর জন্য প্রায় ১.৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। যদি প্রমাণিত হয় যে এই দুর্ঘটনা বিমান সংস্থার ভুলের কারণে ঘটেছে, তাহলে এই ক্ষতিপূরণ আরও বাড়তে পারে। এই ক্ষতিপূরণ আন্তর্জাতিক বিমানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তবে ডিজিসিএ-র নির্দেশিকা অনুসারে, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি ডোমেস্টিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও একই রকম কভারেজ দিতে পারে। এই ক্ষতিপূরণ বিমান সংস্থা এবং বিমা কোম্পানি দ্বারা দেওয়া হয়।
ভ্রমণ বিমার সুবিধাও
অনেক বিমা কোম্পানি ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য কভারেজ অফার করে। এর মধ্যে সাধারণত ২৫ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বিমা এবং ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্থায়ী অক্ষমতা ক্ষতিপূরণ অন্তর্ভুক্ত থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি কোনও যাত্রী বিমা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর পরিবারও এই কভারেজের সুবিধা পাবে।