আর মাত্র ১৫ বছর। তার মধ্যেই তৈরি হবে অখন্ড ভারত। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তিনি পাশাপাশি এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, এর মাঝখানে যারা আসবে, ধ্বংস হয়ে যাবে।
অখন্ড ভারতের এজেন্ডা আরএসএস এর জন্য সব সময় শীর্ষে রয়েছে।
আলোচনার কেন্দ্রে ঘুরেফিরে এই ইস্যু বারবারই চলে আসে। এবার সংঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এই নিয়ে বড় বক্তব্য জারি করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ সংঘচালক মোহন ভাগবত হরিদ্বারে জানিয়েছেন সনাতন ধর্মই হিন্দু ধর্ম। শুধু এটাই নয় তিনি জানিয়েছেন যে কুড়ি থেকে পঁচিশ বছরের মধ্যে ভারত অখন্ড ভারত হবেই। কিন্তু যদি আরও একটু চেষ্টা করি, তাহলে স্বামী বিবেকানন্দ এবং ঋষি অরবিন্দের স্বপ্নের অখণ্ড ভারত ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। এটাকে কেউ আটকাতে পারবে না। যে মাঝখানে আসবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে।
যাঁরা সঙ্গে আসবেন আসুন, নইলে রাস্তা থেকে সরে যান
আরএসএস প্রমুখ জানিয়েছেন যে, যেভাবে ভগবান কৃষ্ণ আঙ্গুলে গোবর্ধন পর্বত উঠিয়েছিলেন, সেভাবে সন্তদের আশির্বাদে ভারতে অখন্ড ভারত খুব দ্রুত তৈরি হয়ে যাবে। একে কেউ আটকাতে পারবে না। কিন্তু আমরা যদি একটু চেষ্টা করি, তাহলে স্বামী বিবেকানন্দ এবং ঋষি অরবিন্দের স্বপ্নের অখন্ড ভারত ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে। মোহন ভাগবত জানিয়েছেন, ভারতের উত্থানের ট্র্যাক এখন এগিয়ে চলেছে। এর রাস্তায় যারা আসবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। ভারত এখন উত্থানের শীর্ষে উঠতে চলেছে। আর তাকে রোখা যাবে না। ভারতের উত্থানের রেল, ট্র্যাকে সঠিক পথে দৌড়চ্ছে। এমনকি বাঁশিও বাজিয়ে চলেছে এবং বলছে যে উন্নতির পথে এই যাত্রায় সবাই তার সঙ্গে আসুন এবং তাকে রোখার প্রয়াস করবেন না। যারা তাঁকে রুখতে চেষ্টা করবে, তাঁরা সঙ্গে চলে আসুন। যদি সঙ্গে না থাকে তাহলে রাস্তা থেকে সরে যান।
আমরা এক হয়ে দেশের জন্য জীবন-মরণ পণ করছি
ভাগবত তিনি জানিয়েছেন যে আমরা আলাদা। আমরা বিভিন্ন। কিন্তু আমরা পৃথক নই। দেশের জন্য আমরা প্রাণ দিতে শুরু করেছি এবং সবাইকেই এটা অনুসরণ করা উচিত। যে গতিতে ভারত উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে, আমার বিশ্বাস এবং বলতে পারি যে ভারত অখন্ড ভারত হতে কুড়ি থেকে ২৫ বছর সময় লাগবে এবং যদি আমরা নিজেদের গতি তীব্র করে নিই তাহলে সেই সময় কমে ১৫ বছরের মধ্যেই আমরা এই মার্গে পৌঁছে যেতে পারব। তিনি বলেন আমরা অহিংসার কথা বলব এবং হাতে লাঠিও রাখব। কারণ এই পৃথিবী শক্তি ছাড়া মানে না।
ভারতে এসে দুষ্টেরা বদলে যাচ্ছে
সঙ্ঘ প্রমুখ জানিয়েছেন যে, হাজার বছর ভারতের সনাতন ধর্মের সমাপ্ত করার প্রয়াস চেষ্টা হয়ে চলেছে। কিন্তু তাকে ধ্বংস করা যায়নি। আমরা সনাতন ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে চলেছি। তিনি জানিয়েছেন ভারত এমন একটা দেশ, যেখানে দুনিয়ার সমস্ত রকমের ব্যক্তি এবং দুষ্ট প্রবৃত্তি সমাপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তারা ভারতে এসে নিজেরা বদলে যাচ্ছেন অথবা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছেন।
বিকাশের পথে বাধা বিঘ্ন উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে
আরএসএস প্রমুখ প্রবণ মোহন ভাগবত হরিদ্বারে করলে সন্ন্যাস রোড শ্রীকৃষ্ণ নিবাস রংপুর আনন্দ আশ্রমের ব্রহ্মমন্দির স্বামী দেবানন্দ মহারাজ এর মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং কার্যক্রমের মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের কার্যক্রমে উপস্থিতদের বলেন, আপনারা সবাই সন্ত। আপনারা সবাই সাধনা করছেন। আপনারা সবাই জানেন যে রাস্ট্র সাধনাতে রয়েছি। যদি বিকাশের পথে কোনও বাধা আসে আমরা তাদের পরাজিত করে এগিয়ে যাব। তিনি জানিয়েছেন যে যেভাবে অমৃত মন্থনের সময় সবচেয়ে আগে হলাহল বেরিয়েছিল এবং দেবাদিদেব মহাদেব নিজের কর্তব্য থেকে বিচলিত না হয়, নিজের গলায় সেই হলাহল ধারণ করেছিলেন। সেভাবে বাকিদের অমৃত প্রাপ্তির জন্য আমাদের সেই কাজ করতে হবে। রামায়ণের প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানিয়েছেন যে, লঙ্কা যাওয়ার সময় হনুমানকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু বাধা নিবারণ করে তিনি আগে এগিয়ে গিয়েছেন।