দীপাবলি নিয়ে মন্তব্যে বিতর্কে অখিলেশ যাদব। তাঁর বক্তব্য, দীপাবলিতে প্রদীপ ও মোমবাতিতে খরচ করা উচিত নয়। তার মতে, কখনও কখনও বিদেশের উৎসব থেকেও শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে।
এক জনসভায় অখিলেশ বলেন, 'আমি এমনিতে লোককে পরামর্শ দিতে যাই না। কিন্তু ভগবান রামের নামে একটি পরামর্শ দিতে পারি। পৃথিবীর সব শহর ক্রিসমাসে আলোকিত হয়। মাসজুড়ে সব সাজানো থাকে। আমরা সেই শিক্ষাটা গ্রহণ করতে পারি। প্রদীপ, মোমবাতিতে এত টাকা খরচ করার কী আছে? সরকার তাহলে কী করবে? এদের সরানো উচিত। আমরা এলে আরও সুন্দর আলো দিয়ে সাজানোর ব্যবস্থা করব।'
তাঁর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। তাদের জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বংশাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, 'দেখুন, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দীপাবলিতে ক্রিসমাসের প্রশংসা করছেন। কোটি কোটি হিন্দুর সামনে তিনি বলছেন, ‘প্রদীপ ও মোমবাতিতে টাকা নষ্ট করবেন না, ক্রিসমাস থেকে শিক্ষা নিন।’ এটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।'
তিনি আরও বলেন, 'অখিলেশ বিদেশি সংস্কৃতিকে হিন্দু সংস্কৃতির উপরে তুলে ধরছেন। তিনি নিজে যাদব হয়েও হিন্দুর চেয়ে খ্রিস্টানদের বেশি ভালোবাসেন। ভারতের প্রাচীন উৎসবকে তুচ্ছ করছেন। ক্রিসমাস এখনও দুই মাস পরে, কিন্তু ওঁর মনে হচ্ছে আগে এসে গিয়েছে। অথচ মাত্র দুই দিন পরে যে দীপাবলি, যার জন্য আমাদের কুমোর ভাইরা নিজেদের হাতে করে প্রদীপ বানাচ্ছেন, তা তাঁর সহ্য হচ্ছে না।'
ভিএইচপি নেতার আরও অভিযোগ, 'রাম ও কৃষ্ণের পবিত্র ভূমিতে অখিলেশদের নেতৃত্বে বেআইনিভাবে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। অপরাধী ও উগ্রপন্থীদের মন্ত্রিপরিষদে রেখেছেন। আর সেই কারণেই হিন্দু সমাজ বিপন্ন হচ্ছে। দীপাবলির আনন্দ ও অযোধ্যার আলো নিয়ে হিংসা করাটা ঠিক নয়।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় অখিলেশ যাদবের এই মন্তব্যকে অনেকে হিন্দু উৎসবের প্রতি অবমাননা হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, কিছু সমর্থক মনে করেন, তিনি অতিরিক্ত খরচ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে শহরগুলি সাজানোর সুপারিশ করেছেন।