Advertisement

Mumbai Train Blast: প্রমাণই নেই, মুম্বইয়ে ভয়াবহ ট্রেন বিস্ফোরণের ১২ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস

২০০৬ সালের মুম্বই লোকাল ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় বম্বে হাইকোর্ট গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল। এদিন ১১ জন অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে। বিচারপতি অনিল কিলোর এবং বিচারপতি এস.জি. চন্দকের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এই মামলায় মোট ১২ জন অভিযুক্তকে নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করে, যার মধ্যে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে, হাইকোর্টে শুনানির সময়, ১১ জন অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, একজন অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই মারা গেছেন।

মুম্বই ট্রেন বিস্ফোরণের ১৯ বছর পর নির্দোষ ঘোষণা ১২ অভিযুক্তকেমুম্বই ট্রেন বিস্ফোরণের ১৯ বছর পর নির্দোষ ঘোষণা ১২ অভিযুক্তকে
Aajtak Bangla
  • মুম্বই,
  • 21 Jul 2025,
  • अपडेटेड 10:52 AM IST

২০০৬ সালের মুম্বই লোকাল ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় বম্বে হাইকোর্ট গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল। এদিন ১১ জন অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে। বিচারপতি অনিল কিলোর এবং বিচারপতি এস.জি. চন্দকের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এই মামলায় মোট ১২ জন অভিযুক্তকে নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত করে, যার মধ্যে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে, হাইকোর্টে শুনানির সময়, ১১ জন অভিযুক্তকে খালাস দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত,  একজন অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই মারা গেছেন।

সূত্রমতে, এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি চলতি বছরের জানুয়ারিতে সম্পন্ন হয়, যার পরে রায় সংরক্ষিত রাখা হয়। দোষীরা ইয়েরওয়াড়া, নাসিক, অমরাবতী এবং নাগপুর জেলে থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আদালতে তাদের উপস্থিতি দেয়। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ তার রায়ে বলেছে যে 'মামলায় উপস্থাপিত প্রমাণ নির্ভরযোগ্য ছিল না' এবং 'অনেক সাক্ষীর সাক্ষ্য সন্দেহজনক ছিল'। আদালত এক বলেছে যে অভিযুক্তদের জোরপূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল এবং তাদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছিল, যা আইনত বৈধ নয়।

আদালত বলেছে, 'প্রসিকিউশন সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে'
আদালত বলেছে যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপস্থাপিত প্রমাণে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। শনাক্তকরণ প্যরেডকে চ্যালেঞ্জ করে আসামিপক্ষের যুক্তিগুলিকে ন্যায্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে। কিছু সাক্ষী বছরের পর বছর ধরে নীরব ছিলেন এবং তারপর হঠাৎ করে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছিলেন, যা 'অস্বাভাবিক'। এর আগেও অনেক সাক্ষী একই ধরণের মামলায় হাজির হয়েছিলেন, যা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।  RDX এবং অন্যান্য উপাদান উদ্ধারের বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।

এই বিস্ফোরণে ১৮৯ জন প্রাণ হারান
২০০৬ সালে এই বিশাল বোমা বিস্ফোরণে, মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনের সাতটি স্থানে বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ১৮৯ জন প্রাণ হারান। এই ঘটনায়  ৮২৪ জন আহত হন। এই মামলায়, ২০১৫ সালে একটি বিশেষ আদালত মোট ১২ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে, যার মধ্যে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ ফয়সাল শেখ, এহতেশাম সিদ্দিকী, নাভেদ হুসেন খান, আসিফ খান এবং কামাল আনসারী। কামাল আনসারী নামের অভিযুক্ত ২০২২ সালে কোভিড-১৯-এর কারণে জেলে মারা যান।

Advertisement

আসামিপক্ষ অভিযোগ করেছিল যে  MCOCA  আইনের অধীনে রেকর্ড করা স্বীকারোক্তিগুলি 'জোরপূর্বক' এবং 'নির্যাতনের' মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং তাই এটি অবৈধ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল যে এটি বিরলতম মামলাগুলির মধ্যে একটি এবং শাস্তি ন্যায্য ছিল। উল্লেখ্য, ১১ জুলাই ২০০৬ তারিখে ১১ মিনিটের ব্যবধানে মুম্বই লোকাল ট্রেনে সাতটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বোমাগুলিতে RDX ব্যবহার করা হয়েছিল এবং বিষয়টি নিয়ে মুম্বই ATS ২০০৬ সালের নভেম্বরে চার্জশিট দাখিল করে।

পূর্ববর্তী শুনানি এবং বিলম্বের কারণ
২০১৫ সালে হাইকোর্টের শুনানি শুরু হয় যখন রাষ্ট্রপক্ষ মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার জন্য একটি আবেদন করে এবং দোষীরাও অবমাননার আবেদন করে। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে, ১১ টিরও বেশি বেঞ্চ পরিবর্তন করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই মাসে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুনানি শেষ করার পর সিদ্ধান্ত সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। এখন এই সিদ্ধান্তকে তদন্তকারী সংস্থাগুলির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

'প্রমাণ দৃঢ় ছিল না'
আদালত বলেছে, 'সাক্ষ্য, তদন্ত এবং প্রমাণ শক্তিশালী ছিল না। অভিযুক্তরা প্রমাণ করতে সফল হয়েছে যে তাদের কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল।' বিচারকরা বলেন, 'আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করেছি। এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল।' 

Read more!
Advertisement
Advertisement