উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক ব্যক্তি টাকার প্রলোভন দেখিয়ে যুবকদের জোরপূর্বক লিঙ্গ পরিবর্তন করত বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছে, এক নির্দিষ্ট ট্রান্সজেন্ডার সংগঠনের সদস্যরা – যারা নিজেদের অর্থের অজুহাতে এবং ঘোরাফেরার মাধ্যমে যুবকদের চাপ দিয়ে, তাদের প্রলুব্ধ করে, জোর করে ট্রান্সজেন্ডারে রূপান্তরিত করে। যারা এই অনুপস্থিতিতে সম্মতি জানায় না বা প্রতিবাদ করে, তাদের পোশাক খুলে ফেলা এবং নির্মমভাবে মারধর করা হয়। এখন পর্যন্ত অভিযোগ করা হয়েছে, ৬ জনেরও বেশি যুবক-যুবতী এই চক্রান্তের শিকার হয়েছে।
ঘটনার সূত্র অনুযায়ী, কানপুরে অপহরণ ও জোরপূর্বক লিঙ্গ পরিবর্তনের মাধ্যমে নপুংসক বানানোর কাজটি একাধিক অপারেশনের মাধ্যমে করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা ও তাদের পরিবার এসপি অফিসে পৌঁছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ এ বিষয়ে এফআইআর দায়ের করে চারটি মামলা রেজিস্টার করেছে। প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে ক্যাটরিনা নামক একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, কিছু অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা বলছেন যে তারা যুবকদের সঙ্গে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যায়, ভালো খাবারের ব্যবস্থা করে, এবং পরবর্তীতে তাদেরকে জোর করে নপুংসক বানানোর জন্য চাপ দেয়। এতে পরিবারের তরফে ভুক্তভোগীরা নানা ধরনের নির্যাতন ও মারধরের শিকার হন। এমনকি, এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটি যুবকের সব পোশাক খুলে নির্মমভাবে মারধর করার দৃশ্য ধরা পড়েছে – তবে, এর সঠিক তারিখ বা অন্যান্য বিবরণ এখনও নিশ্চিত নয়।
কোতোয়ালি পুলিশ অফিসার কুলদীপ কুমার জানান, তাঁর নজরে এসেছে যে, নপুংসকরা অভিযোগকারীদের জোর করে তাদেরকে রূপান্তরিত করছে। অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে, পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত চলছে।
এই ঘটনা সামাজিক ও আইনগতভাবে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পক্ষান্তরে, অভিযুক্ত ট্রান্সজেন্ডাররা এই অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করছে এবং দাবি করছে, "এই পুরো লড়াইটি অর্থের জন্য, অর্থাৎ যুবকদের প্রলোভনের মাধ্যমে এই পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে।"
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে যখন উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই গভীর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, যা আগামী দিনে আরও তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উন্মোচিত হবে।