Advertisement

HC On Divorce Case: স্বামীকে সঙ্গম সুখ না দেওয়া নিষ্ঠুরতা, ডিভোর্স মামলায় বলল হাইকোর্ট

বারাণসীর রবীন্দ্র প্রতাপ যাদবের মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীতি কুমার এবং বিচারপতি রাজেন্দ্র কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। নিম্ন আদালত বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনকারীর আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন রবীন্দ্র। 

বিচ্ছেদ মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 26 May 2023,
  • अपडेटेड 1:29 PM IST
  • নিম্ন আদালত বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনকারীর আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল।
  • বিচ্ছেদে সায় দিল হাইকোর্ট।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে যৌন মিলন গুরুত্বের কথা কার্যত স্বীকার করা হল এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ। একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক না থাকা মানসিক নিষ্ঠুরতা বলে পর্যবেক্ষণ করল আদালত। এলাহাবাদ হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছে,জীবনসঙ্গীকে দীর্ঘ সময় ধরে যৌন মিলনের অনুমতি না দেওয়া মানসিক নিষ্ঠুরতা। এর ভিত্তিতেই বারাণসীর দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদে অনুমতি দিয়েছে আদালত।

বারাণসীর রবীন্দ্র প্রতাপ যাদবের মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি সুনীতি কুমার এবং বিচারপতি রাজেন্দ্র কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। নিম্ন আদালত বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনকারীর আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন রবীন্দ্র। তাঁর দাবি,১৯৭৯ সালে তিনি বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রীর আচরণে পরিবর্তন আসে। স্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করেন। অনুরোধ সত্ত্বেও স্বামীর কাছ থেকে দূরে ছিলেন। দাম্পত্য সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। একই ছাদের নীচে থাকলেও ঘনিষ্ঠ হননি। কয়েকদিন পর স্ত্রী নিজের মামার বাড়িতে চলে যায়।

রবীন্দ্রর আরও দাবি, স্ত্রীকে বারবার বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি রাজি হননি। ১৯৯৪ সালে গ্রাম পঞ্চায়েতে ২২ হাজার টাকা ভরণপোষণ দেওয়ার পরে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। পরে স্ত্রী আবার বিয়ে করেন। স্বামী আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করলেও তিনি আদালতে যাননি। পারিবারিক আদালত স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন খারিজ করে দেয়।

নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে বিবাহবিচ্ছেদে অনুমতি দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, জীবনসঙ্গীকে যৌন সুখ না দেওয়া মানসিক নিষ্ঠুরতা। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আলাদা থাকতেন। স্ত্রীর কাছে দাম্পত্য বন্ধনের কোনও গুরুত্ব ছিল না। স্ত্রী হিসেবে নিজের দায়িত্ব পাল না। এতেই বোঝা যায়, এই বিয়ে আগেই ভেঙে গিয়েছে। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement