ভারতের বিরুদ্ধে কিছু ঘটলে, তাতে চিনের হাত পাওয়া যায়। অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের চেয়ে চিন বেশি চিন্তিত। এর কারণ পাকিস্তান হল চিনের উপনিবেশ। গোটা বিশ্ব জানে যে অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের চিনা অস্ত্র কাজ করেনি। পাকিস্তান দুর্বল হলে চিনের শক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে, সেই কারণেই অপারেশন সিঁদুর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। এর সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রীকেও বেজিংয়ে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং পাকিস্তানকে শক্তিশালী করার জন্য তারা ভারতের বিরুদ্ধে ৪টি পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
অপারেশন সিঁদুর কেবল পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের অহংকারকেই দূর করেনি, বরং শি জিনপিংয়ের জন্যও সমস্যা তৈরি করেছে। যার স্বপ্ন আমেরিকার মতো একটি বড় অস্ত্র ব্যবসায়ী হওয়া। কিন্তু ভারত মাত্র ৪ দিনের মধ্যে চিনের অস্ত্রের আসল ছবিটা পরিষ্কার করে দিয়েছে। অতএব, এখন চিনের পক্ষ থেকে J-35A দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু চিনের এই ধূর্ততার প্রতিকারও ভারত খুঁজে পেয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই J-35A ধ্বংস করার প্রস্তুতি শুরু করেছে, যাকে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করে খুশি।
আসুন জেনে নিন কীভাবে?
২৫ বছর আগে ভারত রাডার প্রযুক্তির দৌড়ে পিছিয়ে ছিল, এর আগে AESA অর্থাৎ অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিকলি স্ক্যানড অ্যারে রাডার ব্যবহার করা হত। ভারতের কাছে এই প্রযুক্তি ছিল না। বিদেশ থেকে এটি কিনে বিমানে স্থাপন করাও ব্যয়বহুল ছিল। অতএব, ভারত এটির উপর কাজ শুরু করে এবং দেশে রাডার তৈরি করে। এই রাডারের উপর নির্ভর করে ভারত এখন চিনের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অস্ত্র কেনা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে আরও খারাপ করবে। পাকিস্তান এবং চিনের ঘনিষ্ঠতার মধ্যে ভারতের আরেকটি দিক হল আসিম মুনির যত বেশি অস্ত্র কিনবে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে। পাকিস্তান আরও অনেক বেশি ঋণী হয়ে পড়বে। পাকিস্তানে দারিদ্র্য ও মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। এবার ভাবুন, চিন তার সবচেয়ে বিপজ্জনক যুদ্ধবিমান পাকিস্তানকে বিনামূল্যে দেবে না, এর জন্য পাকিস্তানকে বিশাল মূল্য দিতে হবে।