Advertisement

America Tariff: ভারতের উপর থেকে ট্যারিফ কমাতে পারে আমেরিকা, দাবি ভারতের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টার

ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এরই মধ্যে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ জানালেন, ভারতীয় পণ্যের উপর যে শাস্তিমূলক কর আমেরিকা চাপিয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হতে পারে।

V Anantha NageswaranV Anantha Nageswaran
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 18 Sep 2025,
  • अपडेटेड 4:31 PM IST
  • ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে
  • ভারতের উপর থেকে ট্যারিফ কমাতেও পারে আমেরিকা

ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এরই মধ্যে  মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ জানালেন, ভারতীয় পণ্যের উপর যে শাস্তিমূলক কর আমেরিকা চাপিয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হতে পারে। আশা করা হচ্ছে, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানের পথে আসবে। তাতে ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক আগের মতোই সুদৃঢ় হবে। 

দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগেশ্বরণ জানান, অগাস্ট মাসে ওয়াশিংটনের তরফে আরোপিত ২৫% ট্যারিফ নভেম্বরের শেষের দিকে প্রত্যাহার করা হতে পারে। তাঁর কথায়, 'আমি বিশ্বাস করি যে জরিমানা শুল্ক ৩০ নভেম্বরের পর আর থাকবে না। কোনও অঙ্ক বা সূচকের ভিত্তিতে আমার ধারণা নয়। তবে সাম্প্রতিক যে সব ঘটনা ঘটছে, তা থেকে আমার বিশ্বাস জন্মেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জরিমানা শুল্কের বিষয়ে একটা সমাধানে পৌঁছতে পারে দুই দেশই।' 

নাগেশ্বরণের ইঙ্গিত, বর্তমানে ২৫ শতাংশ হারে যে শুল্ক দেওয়া হয় তা ১০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে। সমস্যার সমাধান পৌঁছতে ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। যদিও তিনি সাফ জানিয়েছেন, তাঁর এই ধারণার সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি যা বলছেন, সবটাই ব্যক্তিগত ধারণার উপর ভিত্তি করে। 

তবে নাগেশ্বরণ একথা বললেও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক যে ফের গতি পেতে চলেছে তার ইঙ্গিত দিলেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। আর তিনি এই মন্তব্য করলেন ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়ালের মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চের সাথে সাক্ষাতের পরই। 

প্রসঙ্গত, ভারত ও আমেরিকার দ্বিস্তরীয় শুল্ক ব্যবস্থার কারণে কিছু ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে আমেরিকার তরফে। ফলে পোশাক, খাদ্য পণ্যের মতো জিনিস কমতে শুরু করেছে মার্কিন মুলুকে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতিও হয়। ট্রাম্পের শুল্ক বসানোর পরই চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement