
কিছু রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তারা নির্বাচন কমিশনের দ্বারা পরিচালিত SIR-এর বিরুদ্ধে। নাম না করে এ ভাবেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আসলে ২৫ তারিখ ঠাকুরনগরে মিছিল করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সেখানেই করবেন মিটিং। সেই পদযাত্রা এবং মিটিংয়ের বিষয় অবশ্যই SIR বিরোধীতা। আর এই কারণেই শাহ চটেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার একটি পোস্ট করেন শাহ। সেখানেই তিনি অনুপ্রবেশ নিয়ে নিজের মত জানান। পাশাপাশি যারা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের বিরোধীতা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। আর তাঁর এই পোস্টের লক্ষ্য যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটাই মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আসলে গতকালই দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লেখেন মমতা। সেখানে তিনি এই 'SIR অপরকল্পিত' এবং 'জোর করে চাপিয়ে দেওয়া' বলে জানান। পাশাপাশি এই প্রক্রিয়ার জন্য 'মানুষের জীবনও বিপন্ন হচ্ছে' বলেও লেখেন তিনি। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিএলও-দের সঠিক ট্রেনিং দেওয়া হয়নি। সঠিক ডকুমেন্ট সম্পর্কে কোনও প্রশিক্ষণই নেই। পাশাপাশি একটা ছোট ডেডলাইনের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। যার ফলে খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের উপর অমানবিক চাপ রয়েছে। তারা কাজ এবং SIR একসঙ্গে সামলাতে পারছেন না। আর এমন পরিস্থিতিতে তাদেরকে করা হচ্ছে শোকজ। যার ফলে এই প্রক্রিয়া ঠিক মতো হচ্ছে না। বরং এত চাপ থাকায় 'মানুষের জীবন বিপন্ন' হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এমন পরিস্থিতি SIR বন্ধ করার দাবি করেন তিনি।
আর সেই চিঠির পরই রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। রাজ্য বিজেপি ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধেছে। আর আজ আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ব-কলমে মমতাকেই বার্ত দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কী লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?
এই পোস্টে তিনি লেখেন, 'অনুপ্রবেশ বন্ধ করা শুধু দেশের সুরক্ষার জন্য জরুরি নয়, বরং গণতন্ত্রকে দূষিত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্যও প্রয়োজন। যদিও কয়েকটি রাজনৈতিক দল অনুপ্রবেশকারীদের পাশে থাকার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাশাপাশি তারা ইলেকশন কমিশনের ভোটার লিস্ট সংশোধনের বিরোধীতাও করছে।'
আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাতে এটা একবারেই পরিষ্কার হয়ে গেল যে কোনওভাবেই SIR থেকে পিছু হটবে না কেন্দ্রীয় সরকার। বরং ভোটার তালিকা সংশোধনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পাশেই রয়েছেন তাঁরা।