মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই রাজ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক। মণিপুরের অবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ দিল্লিতে সিনিয়র আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই রাজ্যে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন মহারাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল অমিত শাহর। তবে নির্বাচনী সমাবেশ বাতিল করে ফেরার পরপরই বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুর ১২টায় শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন শাহ।
জিরিবাম জেলায় নদীতে ৬ নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের পর নতুন করে ছড়িয়েছে হিংসা। শনিবার রাজ্যের ৩ মন্ত্রী ও ৬ জন বিধায়কের বাড়িতে হামলা করে বিক্ষোভকারীরা। ইম্ফলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা।কিন্তু কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে বাহিনী। ৫টি জেলায় কারফিউ জারি করেছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাজ্যের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম পিটিআই জানিয়েছে, বিক্ষুব্ধরা পিডব্লিউডি মন্ত্রী গোবিন্দদাস কোন্থৌজাম, দুই বিজেপি বিধায়ক ওয়াই রাধেশ্যাম, পওনম ব্রোজেন এবং ইম্ফল পূর্ব জেলার কংগ্রেস বিধায়ক লোকেশ্বরের বাড়িতে হামলা চালায়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। তবে সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়।
সিআরপিএফ পাল্টা ১১ কুকি জঙ্গিকে হত্যা করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর পিছু হটতে গিয়ে বোরোব্রেকা রিলিফ ক্যাম্প থেকে ৬ জনকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। ১৫ নভেম্বর, জিরিবাম জেলা থেকে নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে একজন মহিলা এবং দুই শিশুর মৃতদেহ মণিপুর-অসম সীমান্তে জিরি এবং বরাক নদীর সঙ্গমস্থলের কাছে পাওয়া যায়। তিনটি মৃতদেহ উদ্ধারের পর, ইম্ফল উপত্যকার মেইতি সম্প্রদায় বিক্ষোভ শুরু করে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই অপহরণ ও হত্যার জন্য দায়ী জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। এদিকে, রবিবার সকালে একজন ৬১ বছর বয়সী এক মহিলার লাশ আসামের বরাক নদীতে ভাসতে দেখা গেছে। এরপর ইম্ফল উপত্যকায় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।