দেশে গণপিটুনির অপরাধের সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। দেশে অপরাধের যে নতুন আইন আনা হচ্ছে, সেখানে এই সাজার কথা উল্লেখ রয়েছে। বুধবার লোকসভায় এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন লোকসভায় ৩টি নতুন অপরাধের আইন নিয়ে আলোচনা করেন শাহ। সেই সময়ই গণপিটুনির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
দেশে একাধিক গণপিটুনির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মোদী সরকারের আমলেই দেশে এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কখনও গরু চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে, আবার কখনও গো-রক্ষার নামে এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ। অভিযুক্তদের একাংশ গেরুয়া শিবিরেরই নেতা-কর্মীরা। এ বার মোদী সরকারই গণপিটুনি রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে।
একইসঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল করার কথাও বলেছেন শাহ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'ব্রিটিশরা রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তৈরি করেছিল। যে আইনে তিলক মহারাজ, মহাত্মা গান্ধী, সর্দার পটেল এবং আরও অনেক স্বাধীনতা সংগ্রামী বহু বছর জেলে ছিলেন। এখনও এই আইন রয়েছে। এই প্রথম মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই আইন পুরোপুরি বাতিল করা হবে।'
গত বাদল অধিবেশনে তিনটি বিল পেশ করা হয়েছিল। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিল ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিল ২০২৩ এবং ভারতীয় সুরক্ষা বিল ২০২৩, এই তিনটি বিল পেশ করা হয়েছিল। এই বিলগুলির সংশোধিত অংশগুলি শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করলেন শাহ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, প্রস্তাবিত নতুন আইনের ফলে পুলিশের দায়িত্ব আরও জোরদার করা হবে। ধৃত ব্যক্তিদের সমস্ত রেকর্ড নথিবদ্ধ করা হবে প্রতিটি থানায়। এই রেকর্ডগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন এক জন পদস্থ পুলিশ আধিকারিক।
যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রসঙ্গে শাহ জানিয়েছেন যে, ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোরীদের ধর্ষণের ঘটনা পকসো আইনের সমতুল্য নতুন আইন হবে। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'এখনও পর্যন্ত কোনও আইনে সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা উল্লেখ করা নেই। এই প্রথম সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিশদে উল্লেখ করবে মোদী সরকার। যাতে এটা উল্লেখ না থাকার কেউ ফায়দা তুলতে না পারেন।'