নতুন করে সেজে উঠতে চলছে পূর্ব রেলের ২৮টি ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের ১০টি স্টেশন। ‘অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের’ অধীনে এল এই স্টেশনগুলি। রবিবার ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের রেল স্টেশনগুলির মান উন্নয়ন এবং যাত্রী পরিষেবাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেল সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের মোট ৩৭টি স্টেশনকে নতুনভাবে সাজানো হবে। তার মধ্যে রয়েছে তারকেশ্বর, ইসলামপুর, আলিপুরদুয়ারের মোট ১৫টি স্টেশন, ধূপগুড়ি, আসানসোল, মালদহ-সহ একাধিক স্টেশন।
কেন এই প্রকল্প?
অমৃত ভারত প্রকল্পে রেল স্টেশনগুলি দেখতে হবে বিমানবন্দরের মতো। স্টেশনে থাকবে ওয়াই-ফাই। থাকবে একাধিক ব্র্যান্ডেড শপ। থাকবে পার্কিংয়ের সুবিধাও। পূর্ব রেলের ২৮টি স্টেশনের উন্নয়নে খরচ হবে মোট ১ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ১০টি স্টেশনের উন্নয়নে খরচ হবে ৫৮৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
এই ডিভিশনের অধীনে সব থেকে বেশি খরচ করা হবে হাতিয়া স্টেশনের জন্য। বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৩৫৫ কোটি টাকা। পূর্ব রেলের অধীনে সব থেকে বেশি ব্যয় করা হচ্ছে আসানসোল স্টেশনের জন্য। পরিমাণ প্রায় ৪৩১ কোটি টাকা। অন্যদিকে বর্ধমানের জন্য ব্যয় হচ্ছে ৬৪.২ কোটি টাকা, মালদহ টাউন স্টেশনের জন্য ব্যয় করা হবে ৪৩ কোটি টাকা, রামপুরহাট জংশন স্টেশনের জন্য ব্যয় করা হবে ৩৮.৬ কোটি টাকা, কাটোয়া জংশনের জন্য ব্যয় করা হবে ৩৩.৬ কোটি টাকা। এছাড়া বাকি স্টেশন গুলি পিছু ২০ কোটি টাকার কাছাকাছি ব্যয় করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কোন স্টেশনে কত বরাদ্দ?
আলিপুরদুয়ারের ১৫টি স্টেশন (নিউ আলিপুরদুয়ার, ধুবরি, ফকিরাগ্রাম জং, দলগাঁও, ধুপগুড়ি, কোকরাঝাড়, জলপাইগুড়ি রোড, গোসাইগাঁও হাট, ফালাকাটা, বিন্নাগুড়ি, দিনহাটা, নিউ মাল জং, হাসিমারা, কামাখ্যাগুড়ি এবং গৌরীপুর) বরাদ্দ ৪৫৫ কোটি।
ধূপগুড়ি ও বিন্নাগুড়ি স্টেশনের জন্য ৩৮.০৮ কোটি
সলামপুর আলুয়াবাড়ি স্টেশনের জন্য ২৬ কোটি ও কালিয়াগঞ্জের জন্য ৩১ কোটি
মালদহ টাউনের জন্য ১০ কোটি
আসানসোল স্টেশনের জন্য ৪৩২ কোটি
অন্ডাল স্টেশনের জন্য বরাদ্দ ২০ কোটি
বর্ধমান স্টেশনের জন্য ৬৪.০৫ কোটি
তারকেশ্বর স্টেশনের জন্য ২৪ কোটি ৪ লক্ষ্য
শেওড়াফুলি স্টেশনের জন্য ৩১ কোটি
ব্যারাকপুর স্টেশনের জন্য ২৬.৭ কোটি
শিয়ালদহ স্টেশনের জন্য ২৭ কোটি
এছাড়া বাকি স্টেশনগুলির জন্য গড়ে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
শুধু আসানসোল রেলস্টেশনের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৩১ কোটি টাকা। আধুনিকীকরণের তালিকায় রয়েছে শিয়ালদহ মেন লাইনে সাতটি স্টেশনও। এর মধ্যে অন্যতম ব্যারাকপুর রেল স্টেশনের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ২৬.৭ কোটি টাকা। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর, চাঁদপাড়া স্টেশন, আলিপুরদুয়ারের দলগাঁও, ফালাকাটা ও নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন, বর্ধমানের অন্ডাল, বর্ধমান, আসানসোল, পাণ্ডবেশ্বর, কাটোয়া স্টেশন, বীরভূমের বোলপুর, রামপুরহাট স্টেশন, কোচবিহারের দিনহাটা, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা, কালিয়াগঞ্জ, আলুয়াবাড়ি রোড স্টেশন, হুগলির অম্বিকা কালনা, শেওড়াফুলি, তারকেশ্বর স্টেশন, জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়ি, ধুপগুড়ি, হলদিমারি, হাসিমারা, জলপাইগুড়ি, জলপাইগুডি রোড. কামাখ্যাগুড়ি, নিউ ম্যাল জংশন, কলকাতার শিয়ালদহ, মালদহের মালদহ টাউন, সামসী স্টেশন, মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ, বহরমপুর কোর্ট, নিউ ফারাক্কা জংশন, নদিয়ার বেথুয়াডহরি, কৃষ্ণনগর সিটি, নবদ্বীপ ধাপ, শান্তিপুর স্টেশন।