জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁওতে রক্তের দাগ এখনও টাটকা। তার মধ্যেই বারামুল্লায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা জঙ্গিদের। যদিও সেই অনুপ্রবেশ আটকেছে নিরাপত্তা বাহিনী। দুই জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সেনা জানিয়েছে, 'তীব্র গুলির লড়াইয়ের পরে ২ সন্ত্রাসীকে নিকেশ করা হয়েছে। অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে। সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও অভিযান চলছে।'
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। নিহতদের মধ্যে বাঙালিও রয়েছেন। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার স্থানীয় শাখা রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ভয়াবহ দৃশ্য বর্ণনা করেছেন। ধর্ম জেনে জেনে পর্যটকদের কাছ থেকে গুলি করে জঙ্গিরা। তারপর তারা জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরে আসে এবং পর্যটকদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। যে স্থানটিকে ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’ বলা হয়, সেখানে হঠাৎ এই হামলায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লোকজন প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি করতে থাকেন। চারদিক জুড়ে শুধু আর্তনাদ আর লাশ ছড়িয়ে ছিল। স্থানীয়রা ও নিরাপত্তা কর্মীরা মিলিতভাবে আহতদের উদ্ধার কাজে হাত লাগান।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার মূল চক্রী লস্কর নেতা সইফুল্লাহ কাসুরি ও তার দুই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-ভিত্তিক সঙ্গী। হামলার কয়েকদিন আগেই তারা উপত্যকায় ঢোকে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ৫ থেকে ৬ জন জঙ্গি এই হামলায় জড়িত।