Advertisement

Arvind Kejriwal In Tihar Jail: ১৪ ফুটের ব্যারাক-টিভি ও বই, তিহারে যে ভাবে কাটবে কেজরিওয়ালের দিন

এখন এই তিহারের ২ নম্বর জেলের ব্যারাকে বন্দি রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরিওয়ালকে ১৫ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে। সোমবার, ১ এপ্রিল বিকেল ৪টে ১৩ মিনিটে কেজরিওয়াল তিহারে প্রবেশ করেন।

arvind kejriwal
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 02 Apr 2024,
  • अपडेटेड 9:36 AM IST
  • তিহারের ২ নম্বর জেলের ব্যারাকে বন্দি রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
  • কেজরিওয়ালকে ১৫ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে

তিহারের নাম শুনলেই মনের মধ্যে একটা ছবি ভেসে ওঠে চারদিকে উঁচু দেওয়াল, কাঁটাতারে ঘেরা একটা জায়গা, যেখানে কেউ যেতে চায় না। এটি সেই কারাগার যেখানে দেশের সবচেয়ে নির্বাচিত এবং ভয়ঙ্কর অপরাধীদের বসবাস। এখন এই তিহারের ২ নম্বর জেলের ব্যারাকে বন্দি রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরিওয়ালকে ১৫ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে। সোমবার, ১ এপ্রিল বিকেল ৪টে ১৩ মিনিটে কেজরিওয়াল তিহারে প্রবেশ করেন। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর নতুন ঠিকানা হতে চলেছে তিহার জেল নং ২। কয়েকদিন আগে পর্যন্ত আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিংকে তিহার জেলের ২ নম্বর ব্যারাকে রাখা হয়েছিল, যেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে রাখা হয়েছে। কিন্তু পরে তাঁকে ৫ নম্বর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। মণীশ সিসোদিয়াকে ১ নম্বর জেলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া একই মামলার চতুর্থ অভিযুক্ত কে কবিতাকে ৬ নম্বর লেডি জেলে রাখা হয়েছে। মামলার আরেক আসামি বিজয় নায়ার ৪ নম্বর কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এদিকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে রাখা হয়েছে তিহার জেলের ৭ নম্বর জেলে।

সবাই একই জেলে থাকলেও তাঁদের মধ্যে দেখা হবে না। কারণ একই জেলে থাকা সত্ত্বেও সবাই আলাদা হয়ে যাবেন। কারাগারে পড়াশোনার জন্য আদালতের কাছে ৩টি বই চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল রামায়ণ, গীতা এবং নীরজা চৌধুরীর বই হাউ প্রাইম মিনিস্টার ডিসাইডস দাবি করেছেন। এ ছাড়া কারাগারে ওষুধ রাখার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য ৬ জনের নাম দিয়েছেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, কারাগারে যাওয়া যে কোনও বন্দি কারাগারে থাকা অবস্থায় যাদের সঙ্গে দেখা করতে চান, সেই ১০ জনের নাম কারা প্রশাসনকে দিতে পারেন। এরই ধারাবাহিকতায় কেজরিওয়াল এখনও পর্যন্ত তিহার জেল প্রশাসনের কাছে মাত্র ৬ জনের নাম লিখিয়েছেন। বিধিতে আরও বলা হয়েছে, বন্দি যে নামই রাখুক না কেন, পরে ইচ্ছামতো পরিবর্তন করতে পারবেন। কেজরিওয়াল এই ৬টি নাম দিয়েছেন-স্ত্রী সুনিতা - পুত্র পুলকিত - কন্যা হর্ষিতা - বন্ধু সন্দীপ পাঠক - পিএ বিভাব কুমার - অন্য বন্ধু।

Advertisement

সপ্তাহে দুটি ভিডিও কল করতে পারবেন

সূত্রের মতে, কেজরিওয়াল সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারে বাড়িতে রান্না করা খাবার খেয়েছিলেন। তিনি সপ্তাহে দুটি ভিডিও কল করতে পারেন। কেজরিওয়াল প্রতিদিন পাঁচ মিনিটের সাধারণ কল করতে পারেন। এই কল জেল প্রশাসন রেকর্ড করে। তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের বা জেল রেজিস্টারে যাদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে তাঁদের সঙ্গে প্রতিদিন স্বাভাবিক কলে ৫ মিনিট কথা বলতে পারেন। আদালতের নির্দেশে কেজরিওয়ালকে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

কেজরিওয়াল তাঁর ব্যারাকে এসব ব্যবস্থা পাবেন

আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে কেজরিওয়ালকে ২ নম্বর জেলের ব্যারাকে রাখা হয়েছে। যেটি প্রায় ১৪ ফুট লম্বা এবং ৮ ফুট চওড়া। এতে একটি টয়লেটও রয়েছে। ব্যারাকে একটি টিভি থাকবে, সিমেন্টের তৈরি একটি উঁচু প্ল্যাটফর্ম, যার উপর একটি চাদর দেওয়া হবে এবং একটি কম্বল এবং একটি বালিশ দেওয়া হবে ঢেকে রাখার জন্য। এই ব্যারাকে ২টি বালতিও থাকবে। এক বালতিতে পানীয় জল রাখা হয়, স্নান বা কাপড় ধোওয়ার জন্য আরেকটি বালতিতে জল রাখা হবে। পাশাপাশি একটি জগও থাকবে। এ ছাড়া বিশেষ খাদ্য, টেবিল, চেয়ার, ওষুধ, তোষক, বিছানার চাদর, দুটি বালিশ, কার্পেট ও চশমা দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

সব মিলিয়ে কেন কেজরিওয়ালকে ২ নম্বর জেলে রাখা হল?

তিহারের ২ নম্বর জেল দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের জন্য। সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরা এই কারাগারে থাকেন। কোথাও সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের আনা-নেওয়ার কোনও বিষয় নেই। নিজের ব্যারাকে থাকেন। তাই এই জেল কেজরিওয়ালের নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়েছে। ২ নম্বর কারাগারে একটি সাধারণ এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্যারাক আছে, কেজরিওয়ালকে সেখানে রাখা হয়েছে। ব্যারাকের বাইরে সার্বক্ষণিক চারজন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে এবং ব্যারাকটি ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি নজরদারিতে রাখা হবে।

এই হল তিহার জেলের নিত্যদিনের রুটিন

তিহার জেলে মোট ৯টি আলাদা জেল রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার বন্দি রয়েছে। কারাগারের নিত্যদিনের কথা বললে, সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে খুলে দেওয়া হয় বন্দিদের সেল ও ব্যারাক। সকাল সাড়ে ৬টায় চা এবং রুটি পরিবেশন করা হয়। স্নানের পর বন্দিকে যদি আদালতে যেতে হয় বা মিটিং করতে হয়, সে তার জন্য প্রস্তুত হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে খাবারে ডাল, সবজি এবং ৫টি রুটি দেওয়া হয়। যে কয়েদি রুটি খেতে চায় না সে ভাত নিতে পারে। এরপর দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তাদের ব্যারাকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। মেডিকেল রিপোর্ট ও চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতে বন্দিরা তাদের স্বাস্থ্য অনুযায়ী আলাদা খাবার পায়। বাড়ির খাবারও এর মধ্যে রয়েছে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement