দ্রুত ওজন কমছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। এমনটাই দাবি আম আদমি পার্টির। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। AAP বলছে, গ্রেফতারের পর থেকে কেজরিওয়ালের ওজন ৪.৫ কেজি কমেছে। চিকিত্সকরা এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিহার জেল প্রশাসন জানিয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে যখন আনা হয়েছিল, তখন তাঁর ওজন ছিল প্রায় ৫৫ কেজি। এখনও তাঁর ওজন ৫৫ কেজি।
তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কথায়, কারাগারে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য ভালই আছে। তাঁর সুগার লেভেল স্বাভাবিক।সকালে নিয়মিত যোগব্যায়াম-ধ্যান করছেন। নিজের ব্যারাকে হাঁটাহাঁটিও করেছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আপাতত কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেননি তিহারের চিকিৎসকরা।
গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি কেলেঙ্কারির মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত তাঁকে ১ এপ্রিল ১৫ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায়। তারপর থেকেই তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। দিল্লির মন্ত্রী অতীশি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গুরুতর ডায়াবেটিস রয়েছে। স্বাস্থ্য সমস্যা সত্ত্বেও তিনি ২৪ ঘণ্টা দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। গ্রেফতারের পর থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওজন ৪.৫ কেজি কমেছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক। তাঁকে জেলে রেখে তাঁর স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কিছু হলে গোটা দেশ ছাড়ুন, ঈশ্বরও ক্ষমা করবেন না।'
অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিহারের ২ নম্বর জেলে একটি ১৪ বাই ৮ ফুটের ঘরে রাখা হয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। জেল কর্তৃপক্ষের মতে, তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা নিরীক্ষণের জন্য একটি ব্লাড সুগার সেন্সরও দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে ব্লাড সুগার ড্রপ করা এড়াতে টফিও দেওয়া হয়েছে। জেলের অন্য বন্দিদের মতোই সকালে চিনি ছাড়া চা ও রুটি দিয়ে জলযোগ সেরেছেন কেজরিওয়াল। এরপর খবরের কাগজ পড়েন। কিছুক্ষণ টিভিও দেখেন। দুপুরে এবং রাতে বাড়ির রান্না করা খাবার খাচ্ছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিশেষ টিমও মোতায়েন করা হয়েছে। কেজরিওয়ালের সেলের কাছেই থাকছেন তাঁরা। গতকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্ত্রী সুনীতার সঙ্গে কথা বলেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এছাড়া সামনাসামনি নিজের আইনজীবীর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন।
দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত তাঁকে ১৫ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, কেজরিওয়াল বাইরে থাকলে আর্থিক তছরূপের তদন্ত বাধা পেতে পারে। কেন্দ্রীয় সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, কেজরিওয়াল তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।