অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে সোচ্চার অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর জন্য় কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী বলে তিনি মনে করেন। শুক্রবার দিল্লিতে এজেন্ডা আজতক ২০২৪-এর মঞ্চে তিনি এমনটা বলেন। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'বাংলাদেশ সীমান্তে অবাধ চলাচল রয়েছে। কোনও বেড়া নেই। চার হাজার কিলোমিটার সীমানা রয়েছে, যার মধ্যে হাজার কিলোমিটারে কোনও পাঁচিলই নেই। যেখানে পাঁচিল আছেও, সেখানে দুটি বোর্ড বসিয়েই বেড়া টপকানো যায়। দেখার কেউ নেই।'
AAP নেতা বলেন, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি গত ১৭ অগাস্ট, ২০২২-এ দু'টি টুইট করেছিলেন। এই টুইটে তিনি বলেছিলেন যে ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রোহিঙ্গাদের EWS ফ্ল্যাট দেওয়া হবে এবং বাকারওয়ালায় বসতি স্থাপন করা হবে। তাঁদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। ইউএন এইচসিআর আইডি দেওয়া হবে এবং সর্বক্ষণের পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এই টুইটে পিএমওকেও ট্যাগ করেছিলেন হরদীপ পুরি।'
কেজরিওয়াল বলেন, 'ওঁরা(কেন্দ্রীয় সরকার) রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসে, তাঁদের মীমাংসা করে এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে নির্বাচনও করে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের। বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে যদি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে আসে, তবে তা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা।'
ঝাড়খণ্ডের কথা উল্লেখ করে কেজরিওয়াল বলেন, 'ঝাড়খণ্ডে ওরা (BJP) বলে যে হেমন্ত সোরেন রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপন করেছিলেন। দিল্লিতে এসে ওরা বলে যে কেজরিওয়াল ওদের এনে বসিয়েছে। কিন্তু আমরা (দিল্লি সরকার) থোড়াই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে টহল দিচ্ছি! টহল দেওয়ার দায়িত্ব তো ওদের (কেন্দ্রীয় সরকারের)।'
কেজরিওয়াল বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার যখন বলছে আমরা ওদের ব্যবস্থা করছি, তখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কি তাদের সরানোর সাহস আছে? হরদীপ পুরী বলছেন, আমরা তাদের সমস্যার সমাধান করছি, এটাই রাষ্ট্রসংঘের নীতি। আমরা রাষ্ট্রসংঘের নীতি অনুসরণ করছি। এখন ওরা (বিজেপি) বলছে আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের খুঁজে বের করব। আমি ওদের বলতে চাই যে, হরদীপ পুরীকে জিজ্ঞেস করুন, তিনি জানেন রোহিঙ্গারা কোথায় আছে।'