Arvind Kejriwal resign: 'মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব...', পদত্যাগের ঘোষণা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। মঞ্চ থেকে সমর্থকদের সামনেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা করেন কেজরিওয়াল।
আবগারি 'কেলেঙ্কারি' মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনের দুই দিন মাত্র পেরিয়েছে। আর তার মধ্যেই রবিবার বড় ঘোষণা করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন আম আদমি পার্টির সদর দফতরে গিয়েছিলেন তিনি। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার পর তাঁদের উদ্দেশে ভাষণ দেন কেজরিওয়াল। সেই সময়ই, হঠাৎ কেজরিওয়াল বলেন, 'আমি দু'দিন পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব।'
এই বড় ঘোষণা করেই তিনি বলেন, 'আজ থেকে দু'দিন পর পদত্যাগ করতে চলেছি। আমি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। কেজরিওয়াল সৎ বলে জনগণ রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি ওই চেয়ারে বসব না।'
কেজরিওয়াল বলেন, 'কিছু লোক বলছে যে সুপ্রিম কোর্ট কিছু শর্ত আরোপ করেছে। গত ১০ বছরে তারা নানা শর্ত আরোপ করায় কোনও কমতি রাখেনি। কেন্দ্রীয় সরকার আইন করে আমার কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। সেই ুপরিস্থিতিরও সাক্ষী থেকেছি। আপনি যদি মনে করেন কেজরিওয়াল সৎ, তাহলে সেটার পক্ষে ভোট দিন। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। আমার দাবি, অবিলম্বে নির্বাচন হোক। নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি এখানেও নির্বাচন হতে হবে। আগামী ১-২ দিনের মধ্যে নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করা উচিত।'
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, 'সতেন্দ্র জৈন, আমানতুল্লাহ খানও শীঘ্রই বেরিয়ে আসবেন। দিল্লির মানুষ আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই... আমি জেলে অনেক বই পড়েছি- রামায়ণ, গীতা... আমি ভগত সিংয়ের ডায়েরি নিয়ে এসেছি।'
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমার ছোট দলই দেশের রাজনীতি বদলে দিয়েছে। জেলে বসে আমি অনেক ভাবার সময় পেয়েছি। জেল থেকে একটাই চিঠি লিখেছিলাম, সেটাও এলজি সাহেবকে। সেটা ছিল ১৫ই অগাস্টে। স্বাধীনতা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করেন। আমি বলেছিলাম যে, অতীশিজিকে পতাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হোক। সেই চিঠি আমাকে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। আমাকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, যাতে আমি যদি দ্বিতীয়বার আর চিঠি না লিখি।'