যোধপুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত গডম্যান আসারাম বাপু চিকিৎসার জন্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম এম সুন্দ্রেশ এবং রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানিয়েছে, ৮৬ বছর বয়সী আসারাম বাপুর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে এবং হৃদরোগসহ বিভিন্ন বয়সজনিত সমস্যার কারণে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হল।
চিকিৎসার জন্য প্যারোলের ইতিহাস
বর্তমানে আসারাম যোধপুরের আরোগ্য মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর আগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে বেশ কয়েকবার প্যারোল মঞ্জুর করা হয়েছিল। গত ডিসেম্বর মাসেও তাকে ১৭ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। ১ জানুয়ারি তিনি যোধপুর জেলে ফেরত যান। এছাড়াও, গত বছরের আগস্টে রাজস্থান হাইকোর্ট তাকে চিকিৎসার জন্য সাত দিনের প্যারোল মঞ্জুর করেছিল।
সুপ্রিম কোর্টের শর্তাবলী
সুপ্রিম কোর্ট জামিনের সময় আসারামকে নির্দেশ দিয়েছে, সে যেন কোনওভাবে মামলার প্রমাণ নষ্ট না করে এবং তার মুক্তির সময় অনুসারীদের সঙ্গে দেখা না করে। আদালত আরও জানিয়েছে, তার নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত নজরদারি এবং নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে।
ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত
২০১৩ সালে যোধপুরে নিজের আশ্রমে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে আসারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এছাড়াও, ২০২৩ সালে গুজরাটের একটি আদালত তাকে ২০১৩ সালে একাধিকবার এক মহিলা শিষ্যকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে।
আবেদনকারীর যুক্তি
আসারাম তার জামিনের আবেদনে জানিয়েছিল, তার স্বাস্থ্যের অবস্থা গুরুতর এবং তা দ্রুত অবনতি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সে ১১ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেছে এবং একবার হৃদরোগেও আক্রান্ত হয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করার পর তাকে AIIMS যোধপুরে ভর্তি করা হয়েছিল।
মামলার বর্তমান পরিস্থিতি
আসারামের জামিনের সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে তার চিকিৎসা চলবে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, এই জামিন শুধুমাত্র চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মঞ্জুর করা হয়েছে এবং তার মামলার শুনানিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।