এক দশকের পুরনো ধর্ষণ মামলায় (Rape Case) দোষী সাব্যস্ত হলেন আসারাম বাপু (Asaram Bapu)। সোমবার গুজরাতের একটি আদালত তাঁকে দোষী সাব্য়স্ত করে। আমেদাবাদের মোতেরায় আশ্রমে থাকাকালীন তাঁকে বারবার ধর্ষণ করেছিলেন আসারাম, এমনই অভিযোগ করেছিলেন সুরাতের বাসিন্দা এক মহিলা। গান্ধীনগর দায়রা আদালত (Gandhinagar Court) এই অভিযোগে আজ আসারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করেছে, মঙ্গলবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা।
আসারাম বাপুকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা), ৩৫৪-এ (যৌন নিগ্রহ), ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আসারামের ছেলে নারায়ণ সাইও এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, মেয়ে ভারতী এবং চার মহিলা অনুগামী - ধ্রুববেন, নির্মলা, জাসি এবং মীরা -কেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গান্ধীনগর আদালত তাদের সকলকে বেকসুর খালাস দিয়েছে।
আসারাম বাপু বর্তমানে যোধপুরের একটি জেলে বন্দী। ২০১৮ সালে যোধপুরের একটি ট্রায়াল কোর্ট তাঁকে একটি পৃথক ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাকে কারাদণ্ড দেয়। ২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে ১৬ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণের জন্য আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সেই সময়ে ৭৭ বছর বয়সী স্ব-ঘোষিত গডম্যানকে আইপিসির ৩৭৬ ধারা, পকসো আইন এবং জুভেনাইল জাস্টিস আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। আসারামকে ২০১৩ সালের অগাস্ট মাসে ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং সেপ্টেম্বরে যোধপুরে আনা হয়েছিল।