শনিবার বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে এএসআই-এর তৃতীয় দিনের সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এবার সমীক্ষায় অংশ নিয়েছে মুসলিম পক্ষও। শুক্রবার সমীক্ষায় মুসলিম পক্ষের কোনও সদস্য অংশ নেননি। আঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন,'আমরা আইনি প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। এখন যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট সমীক্ষা নিষিদ্ধ করেনি তাই এএসআই-কে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।'
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানান,'কতদিন জরিপ চালাতে হবে তা ASI-কে ঠিক করতে হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী,কোনও ক্ষতি না করেই আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।' প্রথম দিনে ৭ ঘন্টা ধরে জরিপ চলে। শুক্রবার জ্ঞানবাপী চত্বরের বাইরের অংশের ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফি করে এএসআই। এই সমীক্ষার সময় এএসআই জ্ঞানবাপীর দেওয়াল, গম্বুজ এবং স্তম্ভগুলিতে তৈরি বিভিন্ন আকৃতি রেকর্ড করেন। ত্রিশূল, স্বস্তিক, ঘণ্টা, ফুলের মতো আকৃতির ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। প্রতিটি আকৃতির নির্মাণশৈলী এবং প্রাচীনতা সম্পর্কে তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মুসলিম পক্ষের হাতে থাকা বেসমেন্ট খুলবে। চাবি তাদের কাছে আছে। ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় দৈর্ঘ্য-প্রস্থ পরিমাপের কাজ এখনও শুরু হয়নি। তাই প্রথমে বেসমেন্ট পরিষ্কার করবে পুরসভা। জিপিআর রাডার দিয়ে জরিপ করবে এএসআই। এখন জিপিআর অর্থাৎ গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার প্রযুক্তি দিয়ে গ্রাউন্ডের ভিতরে জরিপ চলবে। এই রাডার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে জ্ঞানবাপী পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকে জিপিআরের মাধ্যমে জরিপ শুরু হতে পারে। GPR অর্থাৎ গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার হল এমন একটি পদ্ধতি যাতে ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত বস্তুগুলিকে যন্ত্রপাতির মাধ্যমে চেনা যায়। এর মাধ্যমে কংক্রিট, ধাতু, পাইপ, তার বা অন্য কোনও বস্তুকে যে কোনও কাঠামোর নীচে চিহ্নিত করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে,ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের সাহায্যে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সংকেত পাওয়া যায়। মাটির নীচে কোনও বস্তু বা কাঠামোর ধরন ও আকার বের করা সহজ হয়। পুরো জরিপে ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগতে পারে।