ডাকাতির গল্প ফেঁদে খুন! ঘটনা অসমের ডিব্রুগড়ের। প্রথমে ডাকাতি বলে সন্দেহ করা হলেও পরে জানা যায়, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত খুন। আর সেই ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে ছিল মৃত ব্যক্তির স্ত্রী এবং কিশোরী মেয়ে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ ও ক্ষোভ।
কী ঘটেছিল?
৫২ বছর বয়সী স্থানীয় ব্যবসায়ী উত্তম গগৈকে ২৫ জুলাই ডিব্রুগড়ের লাহন গাঁও এলাকায় তার বাড়িতেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ শুরুতে ঘটনাটিকে ডাকাতি বলেই করেছিল। কিন্তু ফরেনসিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে চিত্র বদলে যায়। খুনের আট দিন পর রবিবার পুলিশ তার স্ত্রী, ১৬ বছর বয়সী মেয়ে এবং আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
সম্পর্ক ও ষড়যন্ত্র
পুলিশ জানিয়েছে, গগৈয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মেয়ে ২১ বছর বয়সী দীপজ্যোতি বুড়াগোয়াঁইয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি এবং তার মা মিলে বুড়াগোয়াঁই ও তার নাবালক এক সহযোগীর সাহায্যে উত্তম গগৈকে খুনের পরিকল্পনা করে বলে অভিযোগ। খুনের বিনিময়ে টাকা ও সোনার গয়না দেওয়া হয়েছিল বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
কী বলছে পুলিশ?
ডিব্রুগড়ের সিনিয়র পুলিশ সুপার রাকেশ রেড্ডি জানিয়েছেন, 'তারা ঘটনাটিকে ডাকাতির আকার দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তদন্তে অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়ে এবং ফরেনসিক প্রমাণে তাদের জড়িত থাকার তথ্য মেলে। সেখান থেকেই খুনের মূল চক্রান্ত ফাঁস হয়।'
এলাকায় বিক্ষোভ
লাহন গাঁওয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এই ঘটনা ঘিরে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। উত্তম গগৈ ছিলেন এলাকার এক সম্মানীয় মানুষ। তার মৃত্যুর পর বারবারুয়া এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তদন্ত চলছে
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে এবং খুনের পিছনে প্রকৃত উদ্দেশ্য উদ্ঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। শীঘ্রই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।