
অসমে কংগ্রেসের এক সভায় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। করিমগঞ্জ জেলার শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেস সেবাদলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ তৈরির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, কংগ্রেসের এক স্থানীয় নেতা সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি পরিবেশন করছেন। যদিও গানটি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট, বাংলাদেশ এটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু বিজেপির দাবি, অসমের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ‘দেশদ্রোহিতার সামিল’।
অসমের মন্ত্রী অশোক সিংহাল ভিডিওটি এক্সে শেয়ার করে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, 'যে দেশ উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে আলাদা করতে চায়, সেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কংগ্রেস! এখন পরিষ্কার, কেন তারা কয়েক দশক ধরে অবৈধ মিয়া অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে, ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যের জনসংখ্যা বদলে ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ তৈরির পরিকল্পনা করছে।'
অসম বিজেপি ইউনিটও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, 'বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল, যেখানে পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নিজের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে। এখন সেই বাংলাদেশ-আচ্ছন্ন কংগ্রেস গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছে অসমে। যদি কেউ এই উদ্দেশ্য দেখতে না পায়, তবে সে হয় অন্ধ, নয় সহযোগী, নয়তো উভয়ই।'