Advertisement

Assam Couple Burnt: ডাইনি অপবাদে স্বামী-স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন, ব্যাপক চাঞ্চল্য

অসমে ফের কুসংস্কার ও ডাইনি শিকারের ভয়াবহ ঘটনা সামনে এল। জাদুবিদ্যার চর্চা করার অভিযোগে এক স্বামী-স্ত্রীকে নির্মমভাবে মেরে ফেলা হল। ঘটনাটি অসমের কার্বি আংলং জেলার। যেখানে একদল উত্তেজিত গ্রামবাসী ওই দম্পতিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে বলে অভিযোগ।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 31 Dec 2025,
  • अपडेटेड 3:18 PM IST
  • অসমে ফের কুসংস্কার ও ডাইনি শিকারের ভয়াবহ ঘটনা সামনে এল।
  • জাদুবিদ্যার চর্চা করার অভিযোগে এক স্বামী-স্ত্রীকে নির্মমভাবে মেরে ফেলা হল।

অসমে ফের কুসংস্কার ও ডাইনি শিকারের ভয়াবহ ঘটনা সামনে এল। জাদুবিদ্যার চর্চা করার অভিযোগে এক স্বামী-স্ত্রীকে নির্মমভাবে মেরে ফেলা হল। ঘটনাটি অসমের কার্বি আংলং জেলার। যেখানে একদল উত্তেজিত গ্রামবাসী ওই দম্পতিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে কার্বি আংলং জেলার বেলোগুড়ি মুন্ডা গ্রাম নং ১-এ এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা প্রথমে বাড়ির ভিতর ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আক্রমণ করে। এরপর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। নিহতদের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। মৃত স্বামীর নাম গার্দি বিরোভা (৪৩) এবং স্ত্রীর নাম মিরা বিরোভা (৩৩)।

জাদুবিদ্যার অভিযোগ ঘিরেই উত্তেজনা
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, ওই দম্পতি নাকি জাদুবিদ্যা অনুশীলন করতেন। এবং তাঁদের কারণে গ্রাম ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন অঘটন ঘটছিল। এই গুজব ও কুসংস্কারের জেরেই কয়েকজন গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং শেষ পর্যন্ত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ।

অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য জোরদার তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

ডাইনি শিকার ফৌজদারি অপরাধ
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকাটিতে এখনও কুসংস্কার ও গুজবের প্রভাব প্রবল। এর ফলে বারবার নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। পুলিশ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কাউকে ডাইনি বা জাদুকর বলে চিহ্নিত করে নির্যাতন বা হত্যা করা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ।

গুজব এড়িয়ে চলার আবেদন
উল্লেখ্য, অসমে অতীতেও একাধিকবার ডাইনি শিকারের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য সরকার এই ধরনের অপরাধ রুখতে কড়া আইন প্রণয়ন করলেও, বাস্তবে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার এবং কোনও সন্দেহ বা সমস্যা হলে সরাসরি পুলিশ বা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার আবেদন জানানো হয়েছে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement