অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও মণীশ সিসোদিয়া পরাজিত হয়েছেন। দিল্লিতে মুখ পুড়েছে আম আদমি পার্টির। তবে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে কিছুটা হলেও দলের মানরক্ষা করলেন হেভিওয়েট প্রার্থী অতিশী মারলেনা। নির্বাচন কমিশনের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বিজেপি প্রার্থীর থেকে ১৯০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
দিল্লি নির্বাচনের কয়েক মাস আগে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তখন রাজধানীর মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় অতিশীকে। এর আগে ২০২০ সালে কালকাজি আসনে প্রথমবার দাঁড়িয়ে ১১,৩৯৩ ভোটে জিতেছিলেন তিনি। সেই আসন থেকেই এবারও দাঁড়িয়েছিলেন।
যদিও প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে ছিলেন বিজেপির প্রার্থী বিদুরী। প্রাক্তন লোকসভার সাংসদ তখন বলেছিলেন, 'যদি কালকাজির মানুষ উন্নয়ন চান তাহলে তাঁদের অতিশীকে হারাতে হবে। সাধারণ মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দেবেন।'
তবে বিদুরী একথা বললেও বেলা যত বেড়েছে ততই লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে। প্রাথমিক ট্রেন্ডে অতিশী অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেন। সর্বশেষ ফলাফলে দেখা যায়, অতিশী এগিয়ে গিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনিই এই বাজিমাত করেছেন।
প্রসঙ্গত, সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষাকে সত্যি করে দিল্লিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের ট্রেন্ড অনুসারে ৭০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় ৪৭ সিটে এগিয়ে বিজেপি। সেখানে আম আদমি পার্টির দখলে ২৩ আসন। ভোটে হেরেছেন হেভিওয়েট প্রার্থী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও মণীশ সিসোদিয়া। এছাড়াও দিল্লির শকুর বস্তী কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছেন আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে শেষ বার দিল্লির মসনদে ছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সুষমা স্বরাজ। তার পর কংগ্রেস দিল্লির ক্ষমতা দখল করে। ২০১৩ সালে প্রথম বার ক্ষমতায় আসে আপ। টানা দুই বার ভোটে জেতে তারা। এবার হারের মুখ দেখতে হল।