প্রয়াগরাজে কিন্নর জগৎগুরু হিমাঙ্গি সখীর ওপরে হামলা। যাতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছে। অভিযোগের তির আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধে। তিনি হিমাঙ্গি সখীর ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, মমতা কুলকার্নিকে মহামণ্ডলেশ্বর করা নিয়ে প্রতিবাদ করছিলেন হিমাঙ্গি। তিনি লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন করতেন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা একটি ফরচুনার গাড়িতে করে এসে কিন্নর জগৎগুরু হিমাঙ্গি সখীকে আক্রমণ করেন। বলা হচ্ছে প্রয়াগরাজের ৮ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত ক্যাম্পে এই হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। হামলার ঘটনায় ভক্ত ও অনুসারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হিমাঙ্গী সখী জানান, তিনি তাঁর দাসদের সঙ্গে ক্যাম্পে ছিলেন। আচমকা লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী ৫০ জন লোক নিয়ে এসে হামলা চালান। ওদের হাতে হকি স্টিক, রড, তলোয়ার, কুড়াল, লাঠি, ত্রিশূল ও অন্য অস্ত্র ছিল। ১০ থেকে ১২টি গাড়িতে করে হামলাকারীরা আসে ও চারদিক থেকে ক্যাম্প ঘেরাও করে ভাঙচুর চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই হামলার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান চলছে। সিসিটিভি ক্যামেরাতে হামলার ভিডিও রেকর্ড হয়েছে। সিসিটিভ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার পর মহাকুম্ভ নগরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
২৪ জানুয়ারি অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নিকে মহাকুম্ভে কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর করা হয়েছিল। অনেক সাধু-ঋষি এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিলেন। লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর সিদ্ধান্তের কারণে কিন্নর আখড়া আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্নর আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাসও বিদ্রোহ করেন। লক্ষ্মীর সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে তিনি মমতা কুলকার্নিকে মহামণ্ডলেশ্বরের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। তবে আখড়ার লোকজন তাঁর নির্দেশ মানতে রাজি বলে মনে হয় না।
মহামণ্ডলেশ্বর ঋষি অজয় দাস বলেছেন যে লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী, যিনি মমতাকে কিন্নর আখড়ায় ঢুকিয়েছিলেন, তাঁকেও আচার্য মহামণ্ডলেশ্বরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, শীঘ্রই নতুন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বরের নাম ঘোষণা করা হবে। অজয় দাসের মতে, হিজড়া সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য লক্ষ্মীকে ধর্ম প্রচার ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল, তিনি তা থেকে বিচ্যুত হয়েছেন।