Advertisement

Atul Subhash Suicide Case: আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী-শ্যালক-শাশুড়ি গ্রেফতার, দোষ প্রমাণে কী সাজা হতে পারে?

বেঙ্গালুরুতে কর্মরত এআই ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। রবিবার বেঙ্গালুরু পুলিশ অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, শাশুড়ি নিশা সিংহানিয়া এবং শ্যালক অনুরাগ সিংহানিয়াকে গ্রেফতার করে। আত্মহত্যার আগে অতুল তাঁর ১.৫ ঘণ্টার একটি ভিডিও এবং ২৪ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটে তাঁর মৃত্যুর জন্য স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়িকে দায়ী করেন।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 16 Dec 2024,
  • अपडेटेड 3:06 PM IST
  • বেঙ্গালুরুতে কর্মরত এআই ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।
  • রবিবার বেঙ্গালুরু পুলিশ অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, শাশুড়ি নিশা সিংহানিয়া এবং শ্যালক অনুরাগ সিংহানিয়াকে গ্রেফতার করে।

বেঙ্গালুরুতে কর্মরত এআই ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। রবিবার বেঙ্গালুরু পুলিশ অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, শাশুড়ি নিশা সিংহানিয়া এবং শ্যালক অনুরাগ সিংহানিয়াকে গ্রেফতার করে। আত্মহত্যার আগে অতুল তাঁর ১.৫ ঘণ্টার একটি ভিডিও এবং ২৪ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটে তাঁর মৃত্যুর জন্য স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়িকে দায়ী করেন।

ঘটনার পটভূমি
২০১৯ সালে অতুল সুভাষ এবং নিকিতা সিংহানিয়ার বিয়ে হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই দুজন আলাদা থাকতে শুরু করেন। সুইসাইড নোটে অতুল উল্লেখ করেন, নিকিতা প্রথমে মীমাংসার জন্য ১ কোটি টাকা দাবি করেন এবং পরে তা ৩ কোটিতে বাড়ান। এছাড়া নিকিতা তাদের নাবালক সন্তানের পক্ষে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা ভরণপোষণ চেয়ে মামলা করেন।

সুইসাইড নোটে অতুল তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ৯টি মিথ্যা মামলার অভিযোগ আনেন, যার মধ্যে রয়েছে পারিবারিক হিংসা, হত্যা ও যৌতুক নিয়ে হয়রানি। তিনি আরও জানান, বিয়ের পর থেকেই নিকিতা ও তার পরিবার নানা অজুহাতে তাঁর থেকে অর্থ দাবি করত।

গ্রেফতার এবং আইনি পদক্ষেপ
অতুলের ভিডিও এবং সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরু পুলিশ নিকিতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (BNS) ১০৮ ধারা (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) এবং ৩(৫) ধারায় মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ নিকিতাকে গুরুগ্রাম থেকে, নিশা এবং অনুরাগকে প্রয়াগরাজ থেকে গ্রেফতার করে এবং আদালত তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।

দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি কতটা?
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৮ ধারা অনুযায়ী, আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য দোষী প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে। একই সঙ্গে ৩(৫) ধারা অনুসারে, একাধিক ব্যক্তি অপরাধে একত্রে যুক্ত থাকলে, তাদের সবাইকে সমান দায়িত্ব নিতে হয়।

Advertisement

উস্কানি প্রমাণের চ্যালেঞ্জ
সুইসাইড নোট এবং ভিডিওতে অতুল তার মৃত্যুর জন্য নিকিতা এবং তার শ্বশুরবাড়িকে দায়ী করলেও, আদালতে এটি প্রমাণ করা চ্যালেঞ্জিং। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, শুধুমাত্র নির্যাতনের অভিযোগ যথেষ্ট নয়। আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য অভিযুক্তের উদ্দেশ্য এবং প্রভাবিত করার কার্যকারিতা প্রমাণ করতে হবে।

বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং পিবি ভারালের বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্যাতন থাকলেও সেটি আত্মহত্যার প্ররোচনার সমান নয়। অভিযুক্তের কার্যকলাপ প্রমাণ করতে হবে যে তা আত্মহত্যার প্রধান কারণ।

অতুলের আত্মহত্যা: পুরুষদের সুরক্ষা আইন নিয়ে প্রশ্ন
অতুলের আত্মহত্যার ঘটনায় সামাজিক স্তরে পুরুষদের জন্য আইনি সুরক্ষার অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্ট্যাটিসটিক্স অনুযায়ী, ১০ জন আত্মহত্যাকারী পুরুষের মধ্যে ৭ জনই পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন। অতুলের ঘটনা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পুরুষদের আইনি সুরক্ষার গুরুত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেছে।

অতুল সুভাষের আত্মহত্যা এবং তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একটি জটিল আইনি প্রক্রিয়া এবং সামাজিক বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। ঘটনা প্রমাণে আত্মহত্যার প্ররোচনার মূল বিষয়গুলোকে স্পষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে, এই মামলাটি পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক আইন সংস্কারের গুরুত্বকেও সামনে এনেছে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement