বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার প্রতিবাদের আঁচ পড়ল এবার দিল্লির কাশ্মীরি গেটে। এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম অটো খুচরো যন্ত্রাংশের পাইকারি বাজার হল কাশ্মীরি গেট। এই ব্যবসার জন্য ভারতের উপর ৯০ শতাংশ নির্ভর করে বাংলাদেশ। ওপার বাংলায় হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে এবার সে দেশে অটো খুচরো যন্ত্রাংশ না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাশ্মীরি গেটের ব্যবসায়ীরা। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। সে দেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের নানা অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। এমনকী, ভারতীয় বস্ত্র পোড়ানোর ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে অটো খুচরো যন্ত্রাংশ সে দেশে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতীয় ওই ব্যবসায়ীরা।
এই প্রসঙ্গে চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান ব্রিজেশ গয়া বলেছেন, এই সময় বাংলাদেশে হিন্দুদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। বাংলাদেশে ৯৫ শতাংশ অটো মোটর যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়। যার মধ্যে ৯০ শতাংশ ভারত রপ্তানি করে। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও পণ্য না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নিপীড়নের ঘটনা প্রথম থেকেই কার্যত অস্বীকার করে আসছিল ইউনূস সরকার। মঙ্গলবার উল্টো সুর শোনা গেল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। হিন্দুদের উপর যে আক্রমণ হয়েছে, তা একপ্রকার মেনে নিল ইউনূসের সরকার। ওপার বাংলায় হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং হিংসার ঘটনায় মোট ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক তথ্য প্রকাশ করে জানাল ইউনূস সরকার। ওই তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ৫ অগাস্ট থেকে ২২ অক্টোবরের মধ্যে সে দেশ হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় ওই ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন থানায় ৮৮টি মামলা রুজু করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ভারত ও বাংলাদেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ভারতীয় বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী বাংলাদশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান। সে দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে যাতে নিরাপত্তা দেওয়া হয়, সে কথাও জানান বলে খবর। তার পরের দিনই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনায় গ্রেফতারির খবর প্রকাশ করল ইউনূস সরকার।