প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল সূত্রে বিশ্বাস করা হলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অযোধ্যা থেকে নবনির্বাচিত সাংসদ অবধেশ প্রসাদকে ডেপুটি স্পিকার করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ডেপুটি স্পিকার পদ বিরোধী দলকে দেওয়ার রীতি রয়েছে। কিন্তু এটা বিশ্বাস করা হয় যে, অবধেশ প্রসাদ বিজেপি সরকারের জন্য একটি কঠিন প্রস্তাব কারণ সপা সাংসদ অযোধ্যা (ফৈজাবাদ আসন) থেকে জিতেছেন। মমতা অ-কংগ্রেস বিরোধী প্রার্থীর প্রস্তাব দিয়েছেন। ডেপুটি স্পিকার পদ চেয়েছিল কংগ্রেস।
বিরোধী ভারত ব্লক ডেপুটি স্পিকারের দাবিতে অনড়। কিন্তু এনডিএ সরকার নির্বাচন ছাড়াই বিরোধীদের ডেপুটি স্পিকারের পদ দিতে চায় না। এ কারণেই স্পিকার নির্বাচনে বিরোধী দল তাদের প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি বলেছিলেন যে আমাদের প্রতিবাদ ছিল প্রতীকী এবং গণতান্ত্রিক, কারণ তারা (এনডিএ) আমাদের ডেপুটি স্পিকার পদ দেয়নি। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাংসদ মহুয়া মাঝিও বলেছেন যে সরকার যদি ডেপুটি স্পিকার পদ দিতে রাজি হত, তবে স্পিকার নির্বাচন করতে হত না।
বর্ষীয়ান অবধেশের মতো এক দলিত মুখকে সামনে আনাকে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে অযোধ্যা। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে রামমন্দির উদ্বোধন ও রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে চমক দিতে চেয়েছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতে ভর করে সাধারণ মানুষের সমর্থন আদায়েও জোর দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের সব হিসেব উল্টে দিয়েছেন ৭৯ বছরের অবধেশ প্রসাদ। তাই অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশেনে গোড়া থেকেই তাঁকে কার্যত সেলিব্রিটির মর্যাদা দিয়েছে বিরোধীরা।