উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। ২২ জানুয়ারি মন্দিরে রামলালা এবং অন্যান্য দেবতাদের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে অযোধ্যায় পৌঁছেছে রামলালার পোশাক। অযোধ্যার সিন্ধি কলোনীর রামনগরে পৌঁছে গেল রামলালার পোশাক। রামনগরের দেবালয় মন্দিরে রামলালের পোশাকের পুজো হয়। হিন্দু রীতি অনুযায়ী কাপড় শুদ্ধ করার জন্য ২১ জন পুরোহিত বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে আরতি করেছিলেন। রবিবার, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সিন্ধি সম্প্রদায়ের মানুষ রামলালার প্রধান আর্চকের কাছে রাম লালার পোশাক হস্তান্তর করবেন।
হনুমান চালিসা পাঠ করা হবে
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিস্থা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামলালার অভিষেক উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত বড় মন্দিরগুলি 'রামময়' হবে। রাজ্য সরকার সমগ্র রাজ্যে রামায়ণ, রামচরিতমানস এবং হনুমান চালিসার পাঠের আয়োজন করবে।
এ জন্য প্রতিটি জেলার ‘পর্যটন ও সংস্কৃতি পরিষদ’-এর মাধ্যমে স্থানীয় শিল্পী ও জনগণকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ১৪ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য এই অনুষ্ঠানের জন্য অর্থের ব্যবস্থা করবে পর্যটন বিভাগ। তবে এ বিষয়ে এখন একটি প্রস্তাব প্রস্তুত করা হবে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠান এবং মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
অংশ নিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
ট্রাস্ট সারা দেশের মন্দিরগুলিতে রামলালার অভিষেক দিবসে উদযাপনের আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছে। এর দায়ভার আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সামলাচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ও সংসদ ভবনের আদলে রাম মন্দিরের নিরাপত্তা হবে অত্যন্ত কড়া। এ জন্য রাষ্ট্রপতি ও সংসদ ভবনের আদলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সিআইএসএফ, দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা সঙ্গে মিলে এর জন্য পরিকল্পনা তৈরি করেছে। আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। অযোধ্যা এবং শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুধু আপগ্রেড করা হয়নি, সম্পূর্ণ পরিবর্তন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুধু হাইটেকই হবে না, দেশের অনেক নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।