Advertisement

Ayodhya Ram Temple: অযোধ্যা মন্দিরে সম্প্রীতির ছোঁয়া, বাঙালি মুসলিমের হাতে তৈরি হল রামের মূর্তি

দুই মুসলিম প্রতিমা শিল্পীর হাতে তৈরি রামের মূর্তি শোভা পাবে অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বরে। আগামী ২২ জানুয়ারি বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই শোভা পাবে দুই বাঙালির হাতে তৈরি রামের মূর্তি।

ram statueram statue
Aajtak Bangla
  • লখনউ,
  • 14 Dec 2023,
  • अपडेटेड 11:48 AM IST
  • আগামী ২২ জানুয়ারি বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন।
  • ই মুসলিম প্রতিমা শিল্পীর হাতে তৈরি রামের মূর্তি শোভা পাবে অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বরে।
  • যা এক সম্প্রীতির বার্তা বহন করছে। 

অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে জুড়ছে দুই বাঙালি প্রতিমা শিল্পীর নাম। দুই মুসলিম প্রতিমা শিল্পীর হাতে তৈরি রামের মূর্তি শোভা পাবে অযোধ্যার রাম মন্দির চত্বরে। আগামী ২২ জানুয়ারি বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই শোভা পাবে দুই বাঙালির হাতে তৈরি রামের মূর্তি। যা এক সম্প্রীতির বার্তা বহন করছে। 

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দুই মুসলিম প্রতিমা শিল্পীর হাতে তৈরি হয়েছে বিশালাকার রামের মূর্তি। মহম্মদ জামালউদ্দিন এবং তাঁর পুত্র বিট্টু এই মূর্তি বানিয়েছেন। তাঁদের তৈরি মূর্তি উদ্বোধনের দিন রাম মন্দির প্রাঙ্গণে শোভা পাবে। 

কী ভাবে মূর্তি বানানোর বরাত পেলেন তাঁরা? এই কাহিনিও বেশ চমকপ্রদ। জামালউদ্দিনদের কাজ অনলাইনে দেখেন রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ। তার পরেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মূর্তি বানানোর বরাত দেওয়া হয়। 

রামের ফাইবার মূর্তি বানিয়েছেন জামালউদ্দিন। মাটির মূর্তি বানালে যে খরচ পড়ত, ফাইবারের তৈরি মূর্তি বানাতে তার থেকে বেশি খরচ পড়ে। যেহেতু মন্দিরের বাইরে সাজানো হবে রামের মূর্তি, তাই সে কথা মাথায় রেখে ফাইবারের মূর্তি বানানো হয়েছে। বিশালাকার ফাইবারের মূর্তি তৈরি করতে খরচ হতে পারে ২.৮ লক্ষ টাকা। 

মুসলিম হয়ে কিনা রামের মূর্তি বানালেন? এই প্রসঙ্গে জামালউদ্দিনের সাফ কথা, 'ধর্ম যে যাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের বাস। আমাদের সকলকে এক সঙ্গে থাকতে হবে। ভগবান রামে মূর্তি বানাতে পেরে খুবই খুশি। এক জন শিল্পী হিসাবে এটা আমার তরফ থেকে সম্প্রীতির বার্তা।' এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'শধু রাম নয়, মা দুর্গা, জগদ্ধাত্রীর মূর্তি বানিয়েও জনপ্রিয়তা পেয়েছি।' বহু বছর ধরেই হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করছেন তিনি। 


জামালউদ্দিনের পুত্র বিট্টু একটি ওয়ার্কশপ চালান। মোট ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটা টিম। বিশালাকার মূর্তি বানাতে সময় লাগে দেড় মাস। এমনটাই জানিয়েছেন বিট্টু। 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement