Advertisement

ভারত সীমান্তে এই বিপজ্জনক ড্রোন মোতায়েন বাংলাদেশের? এই পদক্ষেপ নিতে পারে নয়াদিল্লি

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নজরদারি বাড়িয়েছে। কারণ বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের কাছে তুরস্ক থেকে কেনা Bayraktar TB2 ড্রোন মোতায়েন করছে বলে খবর রয়েছে।

গ্রাফিক্স- শুভঙ্কর মিত্র গ্রাফিক্স- শুভঙ্কর মিত্র
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 05 Dec 2024,
  • अपडेटेड 6:46 PM IST
  • সীমান্তের আশপাশে ভারত বিরোধীদের সংখ্যা ও তৎপরতা বেড়েছে
  • বাংলাদেশের কেনা Bayraktar TB2 ড্রোন নজরদারি ও হালকা স্ট্রাইক মিশন চালাতে পারে

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নজরদারি বাড়িয়েছে। কারণ বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের কাছে তুরস্ক থেকে কেনা Bayraktar TB2 ড্রোন মোতায়েন করছে বলে খবর রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বেড়েছে। সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে যে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই খবর নিশ্চিত করছে যে বাংলাদেশ সীমান্তে এই ড্রোন মোতায়েন করেছে। যাতে এটি গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি এবং রিকনেসান্স মিশন পরিচালনা করতে পারে। বাংলাদেশ বলছে, প্রতিরক্ষার জন্য এই ড্রোন আনা হয়েছে।

হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের সীমান্তের আশপাশে ভারত বিরোধীদের সংখ্যা ও তৎপরতা বেড়েছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং উন্নত ড্রোন মোতায়েনের কারণে সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের কেনা Bayraktar TB2 ড্রোন নজরদারি ও হালকা স্ট্রাইক মিশন চালাতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১২টি ড্রোনের অর্ডার দিয়েছিল। ৬টি অপারেশনে রয়েছে। ভারতের সীমান্তের কাছে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে। যার কারণে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

ভারতের একজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্তা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সীমান্তের ওপর নজর রাখছি। যত প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা দরকার, সেগুলো মোতায়েন করা হবে। সম্ভবত হেরন টিপি ড্রোন মোতায়েন করা হবে।

আরও পড়ুন

Bayraktar TB2 হল একটি অ্যানম্যানড কমব্যাট এরিয়াল ভেহিকল (UCAV)। অর্থাৎ এটি যুদ্ধ করতে সক্ষম। এটি তৈরি করেছে তুরস্কের বেকার কোম্পানি। এটির প্রথম ফ্লাইট হয়েছিল ২০১৪ সালে। তারপর থেকে তুরস্ক-সহ অনেক দেশ এটি ব্যবহার করছে। সারা বিশ্বে এমন ৩০০টি ড্রোন রয়েছে। এর ডানার ৩৯.৪ ফুট। এর ওজন ৭০০ কেজি। এটি ১৫০ কেজি ওজন বহন করতে পারে। এটি সর্বোচ্চ ২২০ কিমি/ঘণ্টা বেগে উড়তে পারে। তবে এর স্বাভাবিক গতি ১৩০ কিমি/ঘণ্টা। এর রেঞ্জ ৪ হাজার কিমি। তার মানে এটি এই দূরত্ব পর্যন্ত আক্রমণ বা গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে। এটি সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। সাধারণত এটি শুধুমাত্র ১৮ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। এটি ২৭ ঘণ্টা একটানা উড়তে পারে। এতে অনেক ধরনের বোমা ও মিসাইল সিস্টেম অ্যাটাচ করা যাবে।

Advertisement

এতে MAM গাইডেড বোমা বসানোও যাবে। দীর্ঘ পাল্লার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং ৭০ মিমি রোকেটসান সিরিট রকেট লাগানো যেতে পারে। এ ছাড়া বোজোক লেজার গাইডেড রকেট বা ৮১ মিমি টোগান মর্টারও লাগানো যেতে পারে। এছাড়াও, ৭০ মিমি লেজার গাইডেড রকেট অর্থাৎ অ্যাডভান্সড প্রিসিশন কিল ওয়েপন সিস্টেম লাগানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

Read more!
Advertisement
Advertisement