
ছাত্রনেতা ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অশান্ত বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে অশান্তির আঁচ আরও বাড়তে থাকে। রাতে ভাঙচুর চালানো হয় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সংবাদপত্রের অফিসে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ছায়ানাট ভবনে। বাংলাদেশের ইসলামিক কট্টরপন্থী ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পরে ঢাকা জুড়ে কট্টরপন্থীদের তাণ্ডব চলে। একের পর এক বাড়ি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়ানো হল।
বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ ধানমন্ডিতে ছায়ানটের ভবনে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, যে যা পেরেছেন ভেঙেছেন। লাঠি দিয়ে ভাঙা হয়েছে দরজা, জানলা। অগ্নিসংযোগ করা হয় একাধিক জায়গায়। ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত সঞ্জিদা খাতুনের ছবি ছিঁড়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ছেঁড়া হয়েছে লালনের ছবিও।
ঢাকায় শাহবাগ চত্বরে রাস্তা আটকে শুরু হয় বিক্ষোভ। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, আজ সকাল ১০টায় প্রায় শ’দুয়েক বিক্ষোভকারীকে দেখা যায়। তবে তারা কোনও দল বা প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে ছিলেন না। বিক্ষোভকারীদের স্লোগান, 'তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি', 'এই মুহূ্র্তে দরকার, বিপ্লবী সরকার'।
সূত্রের খবর, ময়মনসিংহে এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে উগ্রপন্থীরা। শুধু তাই নয়, গাছে ঝুলিয়ে দেহে আগুনও ধরিয়ে দেয় তারা।
বাংলাদেশের সমস্ত পরিস্থিতি নজরে রেখে দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ চলে। এরপরই দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।