বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল ইউনূস সরকার। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে শরণ নেন হাসিনা। এই ঘটনার এক বছর কেটেছে। ভারত সরকারের হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ও সমর্থনে ক্ষুব্ধ হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এবার ইউনূস সরকারের দাবি, ভারতের দু'টি জায়গায় কার্যালয় খুলছে আওয়ামী লিগ। কলকাতা ও দিল্লির এই দুই কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ বিরোধী কাজ চালাচ্ছেন আওয়ামী লিগ সদস্যেরা। এই দাবি কতটা সত্যি?
ইউনূস সরকারের এই দাবি উড়িয়ে দেয় ভারত। ভারত সরকার জানায়, বাংলাদেশের এই দাবি ভুয়ো। বাংলদেশের দাবি, আওয়ামী লিগ ভারতে নয়াদিল্লি ও কলকাতায় কার্যালয় খুলেছে। তাদের একাধিক নেতারা এখন ভারতে রয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে বলে তারা দাবি করে। শুধু তাই নয়, তারা এও দাবি করে, গত ২১ জুলাই তারা সভাও করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের হুঁশিয়ারি এতে দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে। বাংলাদেশের এহেন দাবি উড়িয়ে জবাব দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “ভারতে আওয়ামী লিগের সদস্যরা বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ করার কথা ভারত সরকারের কাছে অবহিত নয়। ভারতের মাটি থেকে অন্য কোনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ ভারত সরকার অনুমোদন করে না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে, তা ভুল।”
সেইসঙ্গে বাংলাদেশকে এও মনে করিয়ে দেন, দ্রুত স্বচ্ছ নির্বাচনের আশাপ্রকাশ করেছে ভারত সরকার।