কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, অসম থেকে বাংলাদেশি জঙ্গিদের গ্রেফতারের করেছে পুলিশ। এরপর দিকে দিকে শুরু হয়েছে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরপাকড়। এবার মহারাষ্ট্র থেকেও গ্রেফতার করা হল ৮ জন বাংলাদেশিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, থানেতে অবৈধভাবে থাকছিলেন এঁরা।
গোপন সূত্রে খবর এবং অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত শনি ও রবিবার অভিযানে নামে। কালহার এবং কোনগাঁওতে তল্লাশি চালানো হয়। এর পর এক মহিলা সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এঁদের সবারই বয়স ২২-৪২ বছরের মধ্যে। পুলিশকে ভারতে থাকার জন্য কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি এঁরা কেউই।
ধৃতদের মধ্যে ৩ জন ভাঙা-লোহালক্কড় বিক্রির কারবার করতেন। ২ জন শ্রমিকের কাজ করতেন। একজন রাজমিস্ত্রি ও একজন কলমিস্ত্রি ছিলেন।
অসমেও ধৃত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
সোমবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, সেরাজ্য থেকে ৬ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটকানো হয়েছে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কোন অংশ দিয়ে অনুপ্রবেশ হচ্ছিল, সেই বিষয়ে বিশদে কিছু জানাননি তিনি। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে হেমন্ত বিশ্বশর্মা লেখেন, 'অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশে কোনও রেয়াত করা হবে না। অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টার উপর কড়া নজর রাখছে অসম পুলিশ।' ৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ধরে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আগরতলায় ৩ জন
ত্রিপুরার আগরতলা থেকেও এদিন ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধেও অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগ। আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অগাস্ট থেকে ১৭০ জন
২০২৪-এর অগাস্টে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন চরমে ওঠে। সেই সময় থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়। অগাস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ১৭০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারীকে অসমে আটকানো হয়েছে। তাদের বাংলাদেশেই ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় ১,৮৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। সেখানে আরও কড়া নজর রাখছে বিএসএফ। একই সঙ্গে অসম পুলিশও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রুখতে পদক্ষেপ নিয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়ে ছিল বাংলাদেশের দুই জঙ্গি
ভারতে ঢুকে দুই বিধানসভায় দুইটি আলাদা ঠিকানায় ভোটার কার্ড বানিয়ে ফেলেছিল দুই জঙ্গি। দু'জনেই বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য। একজনের নাম মহম্মদ শাদ রাডি। মুর্শিদাবাদের দুই বিধানসভা, হরিহরপাড়া এবং নওদায় ভোটার লিস্টে নাম তোলে সে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু বছর আগেই বাংলায় আসে সে। এরপর হরিহরপাড়ার কেদারতলায় দাদুর বাড়িতে এসে ওঠে। আধার কার্ড এমনকি পাসপোর্টও বানিয়ে ফেলেছিল এই শাদ শেখ।
দিল্লিতেও স্কুলে-স্কুলে নির্দেশিকা
দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সন্তানদের শনাক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি নগর নিগম। সরকারি স্কুলগুলিকে অবিলম্বে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে।