উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার মোট ৪৯ জন। শনিবার রাতভর বরেলির সেই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ যেখানে হিংসা ছড়িয়েছিল। শনিবারই অভিযুক্ত মৌলানা তৌকির রাজা সহ আটজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর রাতে আরও ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হিংসার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা PTI এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দাঙ্গা পাকানো ও তা ছড়ানোর অভিযোগে ১৮০ জনের বিরুদ্ধে ১০ টি FIR দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলের প্রধান রাজা খান। তিনিই হিংসায় উস্কানিদাতাদের মধ্যে অন্যতম।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় ২,৫০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কোনওভাবেই হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। যে বা যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশ প্রশাসন কাউতে রেয়াত করবে না।
বরেলির জেলা শাসক অবিনাশ সিং জানিয়েছেন, এই হিংসার মূল চক্রান্তকারী মাওলানা তৌকির রাজা এবং আরও সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করানো হয়েছে। তাঁদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অন্য সাত অভিযুক্ত সরফরাজ, মনিফুদ্দিন, আজিম আহমেদ, মহম্মদ শরিফ, মহম্মদ আমির, রেহান এবং মহম্মদ সরফরাজকে শনাক্ত করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার জুম্মার নমাজের পর। কোহলানুপুর এলাকায় নমাজ শেষ হওয়ার পর কিছু যুবকদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়, যা শীঘ্রই হইচইয়ে রূপ নেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা রাস্তা দখল নিয়ে ঝগড়া করে। তা নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। আল হযরত দরগার কাছে মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য 'আই লভ মহম্মদ' পোস্টার হাতে বিক্ষোভে অংশ নেন। দ্রুতই তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।