উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ছড়িয়ে পড়া হিংসার ঘটনায় পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলের (আইএমসি) প্রধান মাওলানা তৌকির রাজাকে গ্রেফতার করে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও আটজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, এ পর্যন্ত মোট ৩৯ জনকে আটক ও ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হিংসায় জড়িত সন্দেহে প্রায় ২,০০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
ব্যাপক হিংসা ও পুলিশের এফআইআর
বরেলির আল হযরত দরগার কাছে মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য 'আই লভ মহম্মদ' পোস্টার হাতে বিক্ষোভে অংশ নেন। দ্রুতই তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের পাথর ছোঁড়ায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় বরেলির কোতোয়ালি, বড়দলি, প্রেমনগর ও ক্যান্টনসহ বিভিন্ন থানায় মোট ১০টি এফআইআর হয়েছে। কেবল মাওলানা তৌকির রাজার বিরুদ্ধেই সাতটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় ২২ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন।
প্রশাসনের বক্তব্য
বরেলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবিনাশ সিং জানিয়েছেন, কঠোর পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। তিনি জনসাধারণকে গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানান। উত্তরপ্রদেশ সরকার দাবি করেছে, এই হিংসা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের শিল্প ও বিনিয়োগকে প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্রের অংশ।
অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ
ডিআইজি অজয় কুমার সাহনি জানিয়েছেন, ঘটনার ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলির মাধ্যমে হিংসায় জড়িতদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।