Advertisement

Bayraktar TB2 Drone: সীমান্তে Bayraktar TB2 মোতায়েন বাংলাদেশের, কতটা খতরনাক এই ড্রোন?

১৮ শতকের ফরাসি সামরিক নেতা এবং সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, ঈশ্বর সেদিকেই থাকেন যার সেরা আর্টিলারি আছে।' একবিংশ শতাব্দীতে, যে কেউ জোর গলায় বলতে পারে যে ঈশ্বর সেই পক্ষের থাকে যার কাছে ভাল ড্রোন রয়েছে।

সীমান্তে Bayraktar TB2 মোতায়েন বাংলাদেশের, কতটা খতরনাক এই ড্রোন?সীমান্তে Bayraktar TB2 মোতায়েন বাংলাদেশের, কতটা খতরনাক এই ড্রোন?
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 07 Dec 2024,
  • अपडेटेड 12:24 PM IST
  • BAYRAKTAR TB2 ড্রোন ৩০০ কিমি পর্যন্ত উড়তে পারে
  • ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে

১৮ শতকের ফরাসি সামরিক নেতা এবং সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, ঈশ্বর সেদিকেই থাকেন যার সেরা আর্টিলারি আছে।' একবিংশ শতাব্দীতে, যে কেউ জোর গলায় বলতে পারে যে ঈশ্বর সেই পক্ষের থাকে যার কাছে ভাল ড্রোন রয়েছে। ২০২০ সালে বিশ্ব আধুনিক যুদ্ধে ড্রোনের গুরুত্ব প্রত্যক্ষ করেছিল, যখন আজারবাইজান তুর্কি-নির্মিত Bayraktar TB2 এবং ইজরায়েলের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করে আর্মেনিয়ান বাহিনীকে ধ্বংস করেছিল। একই Bayraktar TB2 ড্রোন এখন ভারতের সীমান্তে বাংলাদেশ মোতায়েন করেছে, সূত্র ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে জানিয়েছে।

এই ড্রোনগুলি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গোয়েন্দা, নজরদারি এবং রিকনেসান্স মিশনের জন্য পরিচালনা করে। যদিও বাংলাদেশ দাবি করেছে যে ড্রোন মোতায়েন প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যেই। একটি সংবেদনশীল অঞ্চলে এই ধরনের উন্নত ড্রোন মোতায়েনের কৌশলগত তাৎপর্য ভারত উপেক্ষা করেনি। তুর্কি ড্রোন মোতায়েনের খবরের পর সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ) তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর কাছে হেরন টিপির মতো ড্রোন মোতায়েন করার এবং সংবেদনশীল অঞ্চলে পাল্টা ড্রোন অভিযান জোরদার করার বিকল্প রয়েছে, সূত্র ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে জানিয়েছে।

BAYRAKTAR TB2 ড্রোন ৩০০ কিমি পর্যন্ত উড়তে পারে, ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। তুরস্ক দ্বারা তৈরি Bayraktar TB2 ড্রোনগুলি একটি US MQ-9 রিপারের ওজনের প্রায় এক-অষ্টমাংশ এবং সর্বোচ্চ গতি প্রায় ২৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এই ড্রোনগুলি তাদের MAM (Turkish for Smart Micro Munition) লেজার-গাইডেড মিসাইল দিয়ে আধুনিক ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে পারে। TB2 ড্রোন একটি ফ্লাইটে এই ধরনের চারটি এমএএম বহন করতে পারে। Bayraktar TB2 UAV সর্বোচ্চ ১৫০ কেজি পেলোড বহন করতে পারে। স্ট্যান্ডার্ড পেলোড কনফিগারেশনের মধ্যে রয়েছে একটি ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা মডিউল, একটি ইনফ্রারেড ক্যামেরা মডিউল, একটি লেজার ডিজাইনার, একটি লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার এবং একটি লেজার পয়েন্টার। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় এবং প্রায় ৩০০ কিলোমিটারের অপারেশনাল দৈর্ঘ্যযুক্ত TB2 ড্রোন শত্রু অঞ্চলের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। এই ড্রোন টার্গেটের কাছে যাওয়ার সময় একটি বিরক্তিকর শব্দ তৈরি করে, যা মনস্তাত্ত্বিকভাবে অস্থির করতে পারে।

Advertisement

আরও পড়ুন

ভারতীয় বাড়ির উঠোনে BAYRAKTAR TB2

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে Bayraktar TB2 ড্রোন মোতায়েন একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘতম সীমানা রয়েছেন। সীমান্তের ভৌগোলিক গঠন ভারতীয় সেনার পক্ষে ছোট আকার এবং কম শব্দের কারণে এই ড্রোনকে ট্র্যাক করা কঠিন হতে পারে।

বাংলাদেশ এই উপমহাদেশে Bayraktar TB2 ড্রোনের একমাত্র ব্যবহারকারী নয়। ২০২৩ সালে পাকিস্তান তুরস্ক থেকে Bayraktar TB2 ড্রোনের প্রথম ব্যাচ পেয়েছিল এবং সেগুলিকে কৌশলগত অবস্থানে মোতায়েন করেছিল। ২০২২ সালের অক্টোবরে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কর্তাদের একটি দল তুরস্কে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতেও অংশ নিয়েছিল।

ভারত কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে

এই বছরের অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩১টি প্রিডেটর ড্রোন কেনার জন্য ৩২০০০ কোটি টাকার চুক্তি করেছে ভারত। এর মধ্যে ১৫টি ভারতীয় নৌবাহিনীতে যাবে এবং বাকিগুলি বিমান বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হবে। AGM-114R Hellfire মিসাইল এবং লেজার-গাইডেড স্মল ডায়ামিটার বোমা (SDB) এর মতো উন্নত অস্ত্রের প্যাকেজ থাকবে এই ড্রোনে। তাই প্রিডেটর ড্রোন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর জন্য একটি শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্প্রতি ইজরায়েল থেকে চারটি স্যাটকম-সক্ষম হেরন মার্ক-২ ইউএভি অন্তর্ভুক্ত করেছে। এদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) ১,৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে নিজস্ব MALE-শ্রেণির ড্রোন Tapas BH-201 তৈরি করছে। Tapas BH-201 এখনও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ডিআরডিও-এর মতে, তাপস ড্রোন ২৮,০০০ ফুট উচ্চতায় মাত্র ১৮ ঘণ্টা ওড়ার ক্ষমতা অর্জন করেছে। যাইহোক, নিয়ম এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অনুসারে এই ড্রোনের কমপক্ষে ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার জন্য সক্ষম হওয়া উচিত।

২০২১ সালে সেনা দিবসের প্যারেডের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী সোয়ার্ম ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে শত্রুর কামান ধ্বংস করার ক্ষমতাও প্রদর্শন করেছিল। এই বছরের মার্চের শুরুতে লেজার-ভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড ড্রোন ডিটেকশন অ্যান্ড ইন্টারডিকশন সিস্টেম (IDD&IS) অন্তর্ভুক্ত করে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি অর্জন করেছিল। লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো এবং জ্যাম করা যায়।

Read more!
Advertisement
Advertisement