Indo-Bangladesh Border Retreat: চলতি মাসের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। সে কারণে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আর নিরাপত্তা আঁটসাঁট হওয়ার কারণে আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্তের রিট্রিট। যার ফলে পর্যটকদের একটা বড় অংশ যাঁরা রিট্রিট দেখতে আসেন, তাঁরা হতাশ। তবে নিরাপত্তা ও অন্যান্য কারণে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে বলে মনে করছেন ট্যুরিজম সার্কিট।
কতদিন বন্ধ থাকবে?
ভারত-বাংলাদেশের ফুলবাড়ি সীমান্তের দায়িত্বে থাকা বিএএসফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাথে জানা গিয়েছে আগামী ৭ থেকে ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রিট্রিটের অনুষ্ঠান। এতে পর্যটকরা কিছুটা হলেও হতাশ। তবে রিট্রিট বন্ধ থাকলেও যাতায়াত বন্ধ রাখা হচ্ছে না। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মোড়া থাকবে সীমান্ত। তার মধ্যে দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ ও প্রস্থান আপাতত অব্যাহতই থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বিএসএফের নর্থবেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি অমিতকুমার ত্যাগী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের কারণে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে সীমান্তগুলিতে। সে কারণে ১৫ জনুয়ারি পর্যন্ত রিট্রিট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারপর আবার নিয়মমাফিক চালু হবে এই রিট্রিট। রিট্রিট উপলক্ষে সীমান্তের ওই জায়গাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ভারতীয় অংশে স্যুভেনিয়ার শপ, অত্যাধুনিক গ্যালারি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বিএসএফের তরফে।
ভারতে শুধুমাত্র ২ জায়গায় রিট্রিট হয়
ভারতবর্ষের একমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গে পঞ্জাবের ওয়াঘা বর্ডার ছাড়া এই সীমান্তেই রিট্রিটেরর বন্দোবস্ত রয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ধরলে একমাত্র ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্তেই রিট্রিট হয়। যেখানে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। এখানে প্রবেশের কোনও মূল্য নেই। শুধুমাত্র সচিত্র নাগরিক পরিচয়পত্র জমা করে রিট্রিট দেখার সুযোগ মেলে।
২০১৮ সালে সীমান্ত পর্যটনের আকর্ষণ বাড়াতে চালু করা হয় রিট্রিট
২০১৮ সালে সীমান্ত পর্যটনের আকর্ষণ বাড়াতে চালু করা হয় এই রিট্রিট। আগে সপ্তাহে ৬ দিন হতো। এরপর করোনার সময় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর করোনা পরবর্তী সময় কাটিয়ে বিশ্ব ফের ছন্দে ফেরার মুখে ২০২১ সালে শুরু হয়ে যায় রিট্রিট। তবে নতুন ভাবে রিট্রিট শুরু হওয়ার পর এটি সপ্তাহে মাত্র ২ দিন করে আয়োজন করা হয়। মঙ্গল এবং শনিবার। ভবিষ্যতে ফের দিন বাড়ানো হতে পারে বলে পরিকল্পনা রয়েছে।