হাতরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর পর পলাতক সুরজ পাল ওরফে ভোলেবাবা ওরফে নারায়ণ সাকার বিশ্ব হরি প্রথমবারের মতো মিডিয়ার সামনে এসে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২ জুলাইয়ের ঘটনার পর তিনি খুবই ব্যথিত। বাবা বলন, 'ভগবান আমাদের এই দুঃখের সময় কাটিয়ে উঠার শক্তি দিন। সমস্ত সরকারি প্রশাসনের উপর আস্থা বজায় রাখুন। আমরা নিশ্চিত যে যারাই সমস্যা সৃষ্টি করছে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। ' সুরজ পাল তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেছেন, 'আমাদের আইনজীবী এপি সিং-এর মাধ্যমে আমরা কমিটির মহাপুরুষদের অনুরোধ করেছি মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এবং সর্বাত্মক শরীর, মন ও ধন দিয়ে আহতদের পাশে দাঁড়াতে। তাঁদের সারাজীবন সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছি।'
গত মঙ্গলবার হাতরসে সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রচারক বাবা সুরজপালের সেবক এবং সৎসঙ্গের আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে পুলিশ তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই ছয়জনকে ধরা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকরকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেবপ্রকাশ মধুকর বাবার জন্য স্পেশাল
দেবপ্রকাশ মধুকর ছিলেন হাতরস অনুষ্ঠানের প্রধান সংগঠক। তা ছাড়া তিনি ভোলেবাবার বিশেষ লোক। দুর্ঘটনার পর বাবার সঙ্গে ফোনে অনেকক্ষণ কথা হয়। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর বাড়ি ফেরেননি দেবপ্রকাশ মধুকর। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও নিখোঁজ রয়েছেন। মধুকর সম্পর্কে বলা হয় যে তিনি একসময় জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র (জেই) ছিলেন। কিন্তু পরে বাবা সুরজপালের একজন মহান ভক্ত হয়ে ওঠেন। দেবপ্রকাশ মধুকরের বাড়ি সিকান্দ্রা রাউ এলাকার দামাদপুরার নতুন কলোনিতে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘটনার তদন্তে একটি এসআইটি গঠন করেছে। যারা এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ৯০ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। শুক্রবার এই তথ্য দিয়েছেন আগ্রা জোনের পুলিশ আধিকারিক অনুপম কুলশ্রেষ্ঠ, যিনি নিজে এসআইটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।