রবিবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে ৩১ জন মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। শহিদ হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর ২ জওয়ান। আহত হয়েছেন ২ জন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেছেন যে রবিবার সকালে ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্র সীমান্তে ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার জঙ্গলে নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল নকশাল বিরোধী অভিযানে গিয়েছিল। জওয়ানদের দেখা মাত্রই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে বাহিনীও। বস্তার পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে।
বস্তার পুলিশ জানিয়েছে, এনকাউন্টার সাইট থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। ছত্তিশগড়ের নিরাপত্তা বাহিনী নকশালদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। ডিআরজি বিজাপুর, STF, C-60 কর্মীরা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
১ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরেই গাঙ্গালুর এলাকায় পুলিশ এবং মাওবাদীদের মধ্যে এনকাউন্টার হয়েছিল। এতে ৪ মাওবাদী নিকেশ হয়। জানুয়ারি মাসের ২০ ও ২১ জানুয়ারি ছত্তিশগড় ও ওড়িশার সীমান্তে গড়িয়াবন্দ জেলার জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে ১৬ জন মাওবাদী নিহত হয়। এর মধ্যে চালাপাঠি নামে একজনের মাথার দাম ছিল ৯০ লক্ষ টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ছত্তিশগড়ে বিভিন্ন এনকাউন্টারে ৬০ জনেরও বেশি মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে। ছত্তিশগড় পুলিশের মতে, ২০২৩ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন এনকাউন্টারে ২১৯ জন মাওবাদীকে খতম করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে এই রাজ্যকে নকশালমুক্ত করার কথা বলেছেন।