বিহারে নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের হাতে। সেই রাজ্যে বসবাস করছেন বিপুল সংখ্যক নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের বাসিন্দা। বাড়ি বাড়ি তদন্তে গিয়ে এই তথ্য হাতে পেয়েছেন বুথ লেভেলের অফিসাররা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১ অগাস্ট ২০২৫ সালের পর যথাযথ তদন্ত হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর কমিশন সেই পরিসংখ্যানও প্রকাশ করবে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন বিহারে নিবিড় ভোটার সংশোধনের জন্য গত ২৪ জুন নির্দেশিকা জারি করে। ২৫ জুন থেকে কাজ শুরু হয়ে যায়। এর লক্ষ্য ছিল ভোটার তালিকা থেকে অযোগ্যদের নাম মুছে ফেলা ও শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের এই সংশোধন অভিযান ২৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
বর্তমানে ৭৭ হাজারেরও বেশি বুথ লেভেল অফিসার এবং সরকারি কর্মীরা বিহার জুড়ে এই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করেছেন। ৭.৮ কোটিরও বেশি মানুষের নাম ভোটার কার্ডে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য উভয় ভোটারকেই তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণকারী নথি সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভোটার তালিকায় বাংলাদেশ ও নেপালের বাসিন্দাদের নাম থাকায় বিরোধী দলগুলোকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর অভিযোগ, বিহারে নিজেদের ভোটব্যঙ্ক ধরে রাখতে বিদেশি নাগরিকদের পাশে থাকতে চাইছে একাধিক দল। এটা কখনও কাম্য নয়। তাঁর দাবি, বিদেশি নাগরিকদের নাম যাতে থাকে লিস্টে সেজন্য কংগ্রেস, বাম, আরজেডি ও একাধিক এনজিও কমিশনের উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে।
এর আগে বিহারের এই নিবিড় ভোটারকার্ড তালিকা সংশোধনের সিদ্ধান্তের আর্জিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, আরজেডির মনোজ কুমার ঝা, কংগ্রেসের কেসি বেণুগোপাল এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি - এসপির সুপ্রিয়া সুলে।
বৃহস্পতিবার এই নিয়ে দীর্ঘ শুনানি হয়। তারপর শীর্ষ আদালতের সুপারিশ, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ডকেও বৈধ নথি হিসাবে গ্রহণ করতে হবে সংশোধন চলাকালীন।