Advertisement

Bilkis Bano Gangrape Case: ধর্ষকদের মুক্তি কেন? সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিলকিস বানো

Bilkis Bano Gangrape Case: গণধর্ষণ মামলার ১১ আসামিকে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন গুজরাত সরকার ক্ষমা করে দেয়, এরপর ১৫ অগাস্ট গোধরা সাব-জেল থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টে বিলকিস বানো
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 30 Nov 2022,
  • अपडेटेड 2:34 PM IST
  • গণধর্ষণ মামলার ১১ আসামিকে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন গুজরাত সরকার ক্ষমা করে দেয়
  • এরপর ১৫ অগাস্ট গোধরা সাব-জেল থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল

Bilkis Bano Case: গণধর্ষণ মামলার শিকার বিলকিস বানো সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন। তিনি ১৩ মের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। এই আদেশে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে গণধর্ষণে দোষীদের মুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৯২ সালে প্রণীত নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এর ভিত্তিতে ১১ ধর্ষককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আজ প্রধান বিচারপতির সামনে রাখা হয়। প্রধান বিচারপতি লেছেন যে তিনি বিবেচনা করবেন যেন রিভিউ পিটিশন একই বেঞ্চের সামনে রাখা হয়।

এর আগেগত ১৩ মে, সুপ্রিম কোর্ট, একজন দোষীর আবেদনের শুনানির সময় বলেছিল যে ২০০৮ সালে সাজা দেওয়া হয়েছিল, তাই মুক্তির জন্য ২০১৪ সালে গুজরাতে তৈরি হওয়া  কঠোর নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। ১৯৯২ সালের নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এর ভিত্তিতে, গুজরাট সরকার ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মুক্তি দিয়েছে। এখন বিলকিস বানো ১৩ মের আদেশ পুনর্বিবেচনার দাবি করছেন। তিনি বলেছেন যে যখন মামলাটি মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছিল, তখন নিয়ম সেখানকার প্রযোজ্য হবে, গুজরাতের নয়। 

বিলকিস সুপ্রিম কোর্টের  দরজায় কড়া নাড়লেন
এর আগে, বিলকিস বানো বলেছিলেন যে তার এবং তার পরিবারের সাতজনের সঙ্গে  জড়িত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামির অকাল মুক্তি ন্যায়বিচারের প্রতি তার বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। বিলকিস বানো এখন তার গণধর্ষণ ও পরিবারের সাত সদস্যকে   হত্যার মামলায় আসামীদের অকাল মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদে  সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।  

এর আগেও দুটি পিটিশন দাখিল 
বিলকিস বানো মামলায় ইতিমধ্যে দুটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। মূল পিটিশনের পর গত ২১ অক্টোবর একটি নারী সংগঠনের পক্ষ থেকেও পিটিশন দাখিল করা হয়। বিচারপতি অজয় ​​রাস্তোগি এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারের একটি বেঞ্চ এই পিটিশনটিকে মূল পিটিশনের সঙ্গে যুক্ত করেছে। উভয় আবেদনের শুনানি হবে একসঙ্গে। শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যেই 'ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান উইমেন'-এর দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানি করছে। এটি মামলায় সাজা মকুব এবং আসামিদের খালাসকে চ্যালেঞ্জ করে করা হয়েছে।

Advertisement

কী ঘটেছিল?
এই মামলাটি গোধরা ঘটনার পরে ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার সঙ্গে  সম্পর্কিত। তখন বিলকিস বানোর বয়স ২১ বছর, তিনি  পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। দাঙ্গা থেকে পালানোর সময় বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয় এবং তার পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে তার তিন বছরের মেয়েও রয়েছে। 

১৫ বছর কারাবাসের পর মুক্তি 
অন্যদিকে, গুজরাত  সরকার বলছে যে তারা সাধারণ ক্ষমা নীতি অনুসারে ১১ জন দোষীকে অব্যাহতি দিয়েছে। এরা  চলতি বছরের ১৫  অগাস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। গোধরা সাব-জেলে ১৫ বছরেরও বেশি সময় সাজা দেওয়ার পরে দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। 

 
 

 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement