দিল্লিতে খেলা হল। ২৭ বছর পর রাজধানীর মসনদে ফিরতে চলেছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল এখনও পর্যন্ত যা এসেছে তাতে বলা যেতেই পারে যে দিল্লিতে এবার ডাবল ইঞ্জিন সরকার গঠন হচ্ছে। এগজিট পোলের পূর্বাভাস সত্যি প্রমাণ করে দিল্লিতে বিজেপি ঝড় তুলেছে। ৭০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপি ৪৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে ম্যাজিক ফিগার ৩৬। অন্যদিকে, আম আদমি পার্টি ২৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এখনও কোনও আসনেই এগিয়ে নেই।
নয়াদিল্লি আসনে পিছিয়ে রয়েছেন কেজরিওয়াল। মাত্র কিছু ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপির প্রবেশ ভার্মা। মুখ্যমন্ত্রীর অতীশি কালকাজি আসনে বিজেপির রমেশ বিধুরির থেকেপিছনে ফেলে দিয়েছেন। এদিকে, কেজরিওয়ালের প্রাক্তন ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়া জংপুরায় সামান্য ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। দলের হার নিশ্চিত বুঝেই কেজরিওয়ালের বাড়িতে যাচ্ছেন না কর্মী ও সমর্থকরা। রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনও নেতাও নেই কেজরিওয়ালের বাড়িতে।
দিল্লি নির্বাচনে আম আদমি পার্টির খারাপ পারফরম্যান্সের বিষয়ে সমাজকর্মী আন্না হাজারে, 'আমি সবসময় বলেছি যে একজন প্রার্থীর আচরণ, তাঁর চিন্তাভাবনা শুদ্ধ হওয়া উচিত। তাঁর জীবনে যেন কোনও দাগ না থাকে। ভাল গুণাবলী ভোটারদের আস্থা বাড়ায়। আমি তাঁকে (কেজরিওয়াল) সব বলেছি, কিন্তু তিনি শোনেননি। তিনি মদের দিকে মনোযোগ দেন। তিনি ক্ষমতায় খুশি ছিলেন।' দিল্লি নির্বাচনে আপ-র হার সামনে আসতেই তাঁকে নিশানা করেছে বিজেপি। লের সাংসদ যোগেন্দ্র চান্দোলিয়া বলেছেন যে কেজরিওয়াল এখন তিহার জেলে ফিরে যাবেন।
৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। মোট ৬০.৫৪ শতাংশ ভোট পড়ে। ২০২০ সালের তুলনায় প্রায় ২.৫ শতাংশ কম৷ ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৫০.৪২ লক্ষ পুরুষ ভোটার এবং ৪৪.৮ লক্ষ মহিলা ভোটার ভোট দিয়েছেন৷ মুস্তাফাবাদে সর্বোচ্চ ৬৯.০১ শতাংশ ভোট পড়েছে। মেহরাউলিতে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ৫৩.০২ শতাংশ।